পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলে ঘূর্ণিঝড়ের সতর্কতা

সকাল থেকেই কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় আকাশের মুখ ভার। সপ্তাহজুড়েই বিভিন্ন স্থানে ঝড়-বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। উত্তাল থাকবে সমুদ্রও। পশ্চিম মধ্য ও উত্তর বঙ্গোপসাগর সংলগ্ন এলাকায় নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে। এই নিম্নচাপ আগামী দু’দিনের মধ্যে আরো শক্তি বাড়িয়ে ক্রমশ উত্তর বঙ্গোপসাগরের দিকে এগিয়ে যাবে। এর জের ধরে সারা সপ্তাহ কলকাতাসহ উত্তরবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গেও ঝড়বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
কলকাতা আলিপুর আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে প্রবল অশনি সংকেত রয়েছে। দুর্যোগের ভয় রয়েছে কলকাতার দক্ষিণবঙ্গ এবং উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায়। অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে কলকাতাসহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায়। ৩০ মে ও ৩১ মে উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় অতি ভারী বৃষ্টির কমলা সর্তকতা জারি করা হয়েছে। সারা সপ্তাহ সমুদ্র উত্তল থাকবে ফলে মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চল সুন্দরবন উপকূলজুড়ে দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সাগর দ্ধীপে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে মাইকিং শুরু করে দেওয়া হয়েছে। সমুদ্র স্নান করতে যাওয়া পর্যটকদেরও দ্রুত সমুদ্র থেকে উঠে আসার অনুরোধ করা হচ্ছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার কপিলমুনি আশ্রমে পূজা দিতে আসা পুণ্যার্থীদের সমুদ্রে স্নান করতেও নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২৭ মে) বকখালির মতো উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করা হচ্ছে। সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপত্তায় পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। এখন থেকেই শুকনো খাবার, বিশুদ্ধ খাবার পানি মজুত করে রাখা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রতিটি ব্লক অফিসে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। সাগর ব্লক অফিসে নিয়ে জরুরি প্রশাসনিক বৈঠক ডাকা হয়েছে।
এ বিষয়ে সাগরের ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার (বিডিও) কনয়া কুমার রাও জানিয়েছেন, সাগরে আমাদের কন্ট্রোল রুম একটিভ আছে। এরই মধ্যে আমরা এই ঝড় মোকাবিলায় সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। সেন্টারগুলোও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলের সব স্থানে মাইকিং শুরু হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
ব্লক ডেভলপমেন্ট অফিসার ( বিডিও) কনয়া কুমার রাও বলেন, যেহেতু আমাদের উপকূলীয় অঞ্চলে বিভিন্ন জায়গার পর্যটকরা আসেন সে কারণে সেখানেও সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। যেকোনো দুর্যোগ মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত আছি।
স্থানীয় বাসিন্দা সুজন চন্দ্র বলেন, সব জায়গায় শুনতে পাচ্ছি ঝড় হবে। এখন আতঙ্কে আছি আমরা। কি হবে কি হবে না কিছুই জানিনা? প্রশাসন এসেছে সবাইকে সর্তক করছে। দেখে তো মনে হচ্ছে ঝড় হবে।
- আরও পড়ুন:
- সিডনির বায়ুদূষণ চরমে, জরুরি স্বাস্থ্য সতর্কতা জারি
- প্রথমবার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় পতাকা তোলার অধিকার পেল ফিলিস্তিন
- গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৫৪, আগুনে পুড়ে মারা গেলো শিশুরাও
মুম্বাইয়ের বাসিন্দা দিগম্বর কপিলমুনির আশ্রমে পূজা দিতে এসে বলেন, আমি এখানে পূজা দিতে এসেছি। এসে দেখি প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝড়ের সতর্কতার জন্য মাইকিং করা হচ্ছে। এখানকার প্রশাসন খুব সাবধানতা অবলম্বন করে ঝড়ের সতর্কতার বার্তা দিচ্ছে।
বিজ্ঞাপন
ডিডি/টিটিএন
বিজ্ঞাপন