ঈদের দ্বিতীয় দিন গাজায় ৭৫ জনকে হত্যা করলো ইসরায়েল
গাজায় ইসরায়েলি হামলায় আহত এক শিশুর আর্তনাদ। ফাইল ছবি: এপি/ইউএনবি
ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনে গাজায় আরও অন্তত ৭৫ জনকে হত্যা করেছে ইসরায়েল। এর মধ্যে গাজা সিটিতে একটি আবাসিক ভবনে বোমাবর্ষণের ঘটনায় অন্তত ১৬ জন জন নিহত হয়েছেন। ধ্বংসস্তূপের নিচে আরও বহু মরদেহ চাপা পড়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার সিভিল ডিফেন্স।
গাজার সাবরা এলাকায় যে ভবনটি ধ্বংস হয়েছে, সেখানে ‘কোনো ধরনের সতর্কতা ছাড়াই’ হামলা চালানো হয়েছে বলে আল-জাজিরাকে জানিয়েছেন গাজা সিভিল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসেল। তিনি বলেন, এটি নিখাদ এক হত্যাকাণ্ড; পুরোপুরি বেসামরিক মানুষের ভবন ছিল এটি। প্রায় ৮৫ জন এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন>>
- গাজায় ঈদের দিন ইসরায়েলি হামলায় নিহত ৪২, বন্ধ খাদ্য বিতরণ
- খাবার নেই, পেটে ক্ষুধা নিয়েই ঈদের নামাজ পড়লো গাজাবাসী
- গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব: জাতিসংঘে ভেটো দিলো একমাত্র যুক্তরাষ্ট্র
শনিবার (৭ জুন) হামলার সময়কার অভিজ্ঞতা জানিয়ে হামেদ কেহিল নামের এক বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনি বলেন, আমরা ঘুম থেকে উঠলাম বিস্ফোরণের শব্দে, ধ্বংসস্তূপ, আর্তনাদ আর পাথর পড়ে মাথায় আঘাত লাগার মধ্যে দিয়ে। ঈদের দিন শিশুদের সাজিয়ে আনন্দের প্রস্তুতির বদলে আমাদের আজ মরদেহ টানতে হচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দা হাসান আলখোর জানান, ধ্বংস হওয়া ভবনটি আবু শারিয়া পরিবারের। তিনি বলেন, আল্লাহ যেন ইসরায়েলি বাহিনী ও নেতানিয়াহুর বিচার করেন।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এই হামলায় মুজাহিদিন ব্রিগেডের নেতা আসআদ আবু শারিয়াকে হত্যা করা হয়েছে, যিনি ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাসের নেতৃত্বাধীন হামলায় অংশ নিয়েছিলেন বলে দাবি তাদের। হামাসও টেলিগ্রামে দেওয়া বিবৃতিতে আসআদ ও তার ভাই আহমেদ আবু শারিয়ার হত্যার খবর নিশ্চিত করেছে। বিবৃতিতে একে ‘নিরীহ বেসামরিক মানুষের বিরুদ্ধে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের অংশ’ বলা হয়েছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
কেএএ/