বিদেশি আক্রমণে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে: যোগী আদিত্যনাথ
ভারতের উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ/ এক্স (টুইটার) থেকে সংগৃহীত ছবি
শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে বিদেশি আক্রমণ ও ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে ভারতে হিন্দু জনসংখ্যা কমে গেছে বলে দাবি করেছেন উত্তপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। মঙ্গলবার (২৩ সেপ্টেম্বর) লখনৌতে রাজ্য পর্যায়ের ‘আত্মনির্ভর ভারত-স্বদেশী সংকল্প’ শীর্ষক কর্মশালায় দেওয়া বক্তব্যে এমন দাবি করেন তিনি।
তিনি বলেন বলেন, ১১০০ খ্রিষ্টাব্দে ভারতের হিন্দু জনসংখ্যা ছিল প্রায় ৬০ কোটি, কিন্তু স্বাধীনতার সময় (১৯৪৭ সালে) তা কমে দাঁড়ায় প্রায় ৩০ কোটিতে। বলুন তো, এই ৮০০-৯০০ বছরে আমাদের জনসংখ্যা বাড়ার কথা ছিল না কমার কথা ছিল? বিদেশি আক্রমণ ও শাসন শুধু ভারতের সম্পদ ভোগ ও জনগণকে শোষণই করেনি, বরং হিন্দু জনসংখ্যাও কমিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের সমৃদ্ধির জন্য প্রয়োজনীয় সব ধরনের সম্পদ থাকলেও বিদেশি শাসকদের বিভাজনমূলক নীতির কারণে দেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের কী ছিল না? সবকিছুই ছিল। কিন্তু কিছু লোক জাতপাত, অঞ্চল, ভাষা ও নানা কারণে মানুষকে বিভক্ত করেছিল। আজও তারা সেই বিদেশি মানসিকতা নিয়ে চলছে, সমাজে বিভাজন সৃষ্টি করছে।
স্বদেশী আন্দোলনের প্রসঙ্গ টেনে আদিত্যনাথ তার বক্তব্যে সরকারের আত্মনির্ভরতা ও দেশীয় উৎপাদনের ওপর জোর দেওয়ার নীতির গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বদেশী আন্দোলনের ডাক ভারতীয় শ্রমিক ও তরুণদের ক্ষমতায়নের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছে।
যোগী আদিত্যনাথ বলেন, এই স্বদেশী প্রচারণাকে নানা দিক থেকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর বার্তা হলো, ভারতীয় শ্রমিকের ঘাম আর তরুণদের মেধা দিয়ে তৈরি জিনিসের প্রচারণা চালাতে হবে।
এর আগে সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পণ্য ও পরিষেবা কর (জিএসটি) ২.০ চালু করেছে, যা দেশের পরোক্ষ কর কাঠামোয় একটি বড় সংস্কার হিসেবে দেখা হচ্ছে। এ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশবাসীর উদ্দেশে এক চিঠি লিখে জানিয়েছেন, ‘জিএসটি বাঁচানোর উৎসব’ (জিএসটি সেভিংস ফেস্টিভ্যাল) সবার জন্য সঞ্চয় বাড়াবে ও সমাজের প্রতিটি স্তরের মানুষকে উপকৃত করবে।
নবরাত্রি উপলক্ষে লেখা সেই চিঠিতে মোদী দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, এই সংস্কার প্রত্যেক শ্রেণির মানুষকে সরাসরি উপকৃত করবে। একই সঙ্গে এটি আরও বেশি প্রবৃদ্ধি ও বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে এবং দেশের প্রতিটি রাজ্য ও অঞ্চলের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
সূত্র: এনডিটিভি
এসএএইচ