বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এলেন কমিশনের প্রতিনিধি দল
বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গে এলেন কমিশনের প্রতিনিধি দল
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখতে কলকাতায় পৌঁছেছেন ভারতের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী সহ চার সদস্যের একটি প্রতিনিধির দল। আগামী দু'দিন পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সবকটি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠক করবেন জ্ঞানেশ ভারতী।
আর মাত্র কয়েক মাস পরেই পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভার নির্বাচনের তফসিল প্রকাশিত হবে। এরই মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের পার্শ্ববর্তী রাজ্য বিহারের বিধানসভার নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়ে গেছে। বিহার জুড়ে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনের আগে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন (এসআইআর) এবং বিধানসভা নির্বাচনের বিভিন্ন বিষয় প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে কলকাতায় এসেছেন জ্ঞানেশ ভারতী।
এছাড়াও নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, উত্তরবঙ্গের সমস্ত জেলার সঙ্গে চলতি মাসের যেকোনো একটি তারিখে বৈঠক করা হবে। পরবর্তীতে তারিখটি জানিয়ে দেওয়া হবে ।
জানা গেছে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক বুথে যাতে এসআইআর করা যায় সেই বিষয়টি বিশেষ নজর দেওয়াই তাদের প্রধানকাজ । কারণ, এসআইআর কার্যকর হলে যদি দেখা যায় কোন ভোটারের নাম-২০০২ ভোটার তালিকায় রয়েছে, তাদের কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না। যারা ওই সময়ে ভোটার হননি, তাদের বাবা-মা'য়ের নাম থাকলেও সমস্যা নেই। এই দু'টি নথি যাদের নেই তারা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন প্রস্তাবিত নথির মধ্যে যে কোন একটি জমা দিতে হবে। তাহলেই তাদের ভোটার তালিকায় নাম উঠবে এবং গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।
ডেপুটি নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ ভারতী রাজারহাট-গোপালপুরে,কোলাঘাট পূর্ব মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার এমন ৫০০ বুথের বিএলও-দের সাথে বৈঠক করছেন। যেখানে সমস্ত বুথের ভোটারদের যাচাই প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
পরে উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বারাসাতে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে একটি বৈঠক হবে সেখানে থাকবেন ওই জেলার জেলা প্রশাসক ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক, ওসি নির্বাচন এবং জেলার সমস্ত ইআরও-রা।
এ বিষয়ে বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় পাল জানিয়েছেন, ২০১১ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখলে রাজারহাট নিউটাউনে সবচেয়ে বেশি ভোটার বেড়েছে। প্রায় ৭৪ হাজার ভোটার বেড়েছে।
বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় পালের অভিযোগ, রাজারহাট গোপালপুরে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি এবং রোহিঙ্গাদের বসবাস। এখানে জনসংখ্যা যত হওয়া উচিত তার থেকে আধার কার্ডের সংখ্যা সব থেকে বেশি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা আশা রাখবো এগুলো খতিয়ে দেখবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন।