যে কারণে ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ করলো চীন
৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ করলো চীন/ ছবি : চীনা কাস্টমস
স্বশাসিত তাইওয়ান দ্বীপকে ‘ভুলভাবে চিহ্নিত’ করার কারণে চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শানডং প্রদেশে কাস্টমস কর্মকর্তারা ৬০ হাজার মানচিত্র জব্দ করেছেন। এছাড়া এ মানচিত্রে আরও কয়েকটি দ্বীপকে চীনের অধীনে দেখানো হয়নি। যদিও কীভাবে ভুল চিহ্নিত করা হয়েছে তা বিস্তারিত জানানো হয়নি।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জব্দ করা মানচিত্রগুলো রপ্তানির উদ্দেশ্যে তৈরি করা হয়েছিল।তবে সেগুলো বিক্রি নিষিদ্ধ করা হয়েছে কারণ এগুলো চীনের ‘জাতীয় ঐক্য, সার্বভৌমত্ব ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার জন্য হুমকি।’
কাস্টমস কর্তৃপক্ষের বরাতে জানানো হয়, মানচিত্রগুলোতে শুধু তাইওয়ান নয়, বরং দক্ষিণ চীন সাগরের কিছু গুরুত্বপূর্ণ দ্বীপও বাদ পড়েছে। এ দ্বীপগুলোর মালিকানা নিয়ে চীনের প্রতিবেশী দেশ ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের সঙ্গে সংঘাত রয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , মানচিত্রগুলোতে চীনের ‘নাইন-ড্যাশ লাইন’ চিহ্নও অনুপস্থিত ছিল— এই রেখার মাধ্যমে বেইজিং প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরকেই নিজেদের জলসীমা হিসেবে দাবি করে। ওই মানচিত্রগুলোতে চীন ও জাপানের সামুদ্রিক সীমানাও দেখানো হয়নি, যা আরেকটি বড় ত্রুটি হিসেবে ধরা হয়েছে।
বেইজিং তাইওয়ানকে নিজেদের ভূখণ্ড দাবি করে, যদিও দ্বীপটি নিজস্ব সংবিধান ও নির্বাচিত সরকারসহ স্বশাসিতভাবে পরিচালিত হয়। চীন বারবার বলেছে, তাইওয়ান তাদের অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করে দ্বীপটি দখল রাখতেও পিছুপা হবে না তারা। অন্যদিকে তাইওয়ান নিজেদের স্বতন্ত্র রাষ্ট্র হিসেবে দেখে এবং গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকার দ্বারা পরিচালিত হয়।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ চীন সাগরে প্রায়ই উত্তেজনা দেখা যায়।। সর্বশেষ গত সপ্তাহে চীন ও ফিলিপাইনের জাহাজের মধ্যে নতুন করে সংঘাতের ঘটনা ঘটেছে। ফিলিপাইন অভিযোগ করেছে, একটি চীনা জাহাজ তাদের সরকারি নৌযানে ইচ্ছাকৃতভাবে ধাক্কা দেয় এবং জলকামান নিক্ষেপ করে।
সূত্র : বিবিসি
কেএম