যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলা: লেবাননের মতোই হবে গাজার পরিণতি?
গাজায় যুদ্ধবিরতির পরও ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত/ ফাইল ছবি: এপি, ইউএনবি
গাজায় তথাকথিত যুদ্ধবিরতির পরও অব্যাহত রয়েছে ইসরায়েলি হামলা। অবরুদ্ধ উপত্যকায় আজও পড়ছে বোমা, ঝরছে প্রাণ। ফলে প্রশ্ন উঠছে, গাজার পরিণতি কি তবে লেবাননের মতোই হবে?
গত ১১ অক্টোবর দক্ষিণ লেবাননে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে এক সিরীয় পথচারী নিহত এবং সাতজন আহত হন, ধ্বংস হয় কোটি কোটি ডলারের খনন ও নির্মাণ সরঞ্জাম।
এই হামলা অনেক দেশের জন্য অস্বাভাবিক হতে পারে, কিন্তু লেবাননে প্রায় প্রতিদিনই ইসরায়েলি হামলা হয়ে আসছে। ১১ মাস আগে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল শান্তিচুক্তি হলেও প্রকৃত শান্তি আজও অধরা।
আরও পড়ুন>>
যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলা
যুদ্ধবিরতির পরেও গাজায় ৯৭ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করলো ইসরায়েল
৪৭ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে ইসরায়েল, ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ মোনা ইয়াকুবিয়ান বলেছেন, লেবাননের পরিস্থিতি ‘লেসফায়ার’ বা অর্ধ-সংঘাতের মতো। ইসরায়েল যখন খারাপ প্রভাব মনে করবে, তখন হামলা চালাতে পারে ফের পূর্ণ যুদ্ধ শুরু ছাড়াই। তার মতে, গাজার শান্তিচুক্তির ক্ষেত্রেও একই ধরনের পরিস্থিতি হতে পারে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর হামাস-ইসরায়েল সংঘাত শুরুর পর লেবাননের হিজবুল্লাহও রকেট নিক্ষেপ করেছিল। জবাবে ইসরায়েল বিমান হামলা এবং গোলাবর্ষণ করে। শুরুর দিকের ‘নিম্ন-স্তরের সংঘাত’ ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পূর্ণ যুদ্ধে রূপ নেয়।
এর কয়েক সপ্তাহ পরে ২৭ নভেম্বর স্বাক্ষরিত শান্তিচুক্তি অনুসারে, লেবাননকে নিশ্চিত করতে হবে, কোনো সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসরায়েলে আক্রমণ করবে না এবং ইসরায়েলকে ‘আক্রমণাত্মক’ অভিযান বন্ধ করতে হবে। তবে চুক্তিতে ‘নিজের প্রতিরক্ষা’ বিষয়ে অস্পষ্ট নির্দেশনা রয়েছে।
বাস্তবে, ইসরায়েল হামলার দায়িত্ব নিজ হাতে নিয়েছে। লেবানন দাবি করছে, হামলায় নিরীহ নাগরিক ও অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাব বলছে, শান্তিচুক্তির পর থেকে ইসরায়েলি হামলায় ২৭০ জনের বেশি লেবানিজ নিহত এবং প্রায় ৮৫০ জন আহত হয়েছেন।
সূত্র: এপি
কেএএ/