ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে এস আলমের মামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৭:২২ পিএম, ২৯ অক্টোবর ২০২৫

বিশ্বব্যাংকের আন্তর্জাতিক সালিশি আদালতে মামলা করেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলম ও তার পরিবার। তাদের অভিযোগ, অবৈধভাবে পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারে বাংলাদেশের অন্তবর্তী সরকার যেসব ব্যবস্থা নিয়েছে, এতে তাদের ‘শত শত কোটি ডলার’ ক্ষতি হচ্ছে।

বিশ্বব্যাংকের অধীন আন্তর্জাতিক বিনিয়োগ বিরোধ নিষ্পত্তি কেন্দ্রে (আইসিএসআইডি)-এ গত সোমবার (২৭ অক্টোবর) মামলাটি দায়ের করা হয়। বুধবার বিষয়টি প্রথম প্রকাশ করে যুক্তরাজ্যভিত্তিক পত্রিকা ফাইন্যান্সিয়াল টাইমস।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাইফুল আলমের পরিবার দাবি করেছে, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ‘ইচ্ছাকৃত সম্পদ জব্দ, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ এবং ব্যবসায়িক ধ্বংসযজ্ঞের পরিকল্পিত প্রচারণা’ চালিয়েছে। এতে তাদের শত শত কোটি ডলার ক্ষতি হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও পাচার হওয়া সম্পদ উদ্ধারের দায়িত্বে থাকা আহসান এইচ মনসুর অভিযোগ করেছেন, এস আলম পরিবার প্রায় ১ হাজার ২০০ কোটি ডলার দেশের ব্যাংকিং খাত থেকে সরিয়ে নিয়েছে। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন, ‘ওই টাকাগুলো কোথায় গেলো?’

তবে এস আলম গ্রুপ এই অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে, ‘আহসান এইচ মনসুরের দাবি সত্য নয়, এটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নিয়ে সালিশি মামলা

সাইফুল আলম ও তার পরিবারের সদস্যরা ২০২০ সালে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করে ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সিঙ্গাপুরের নাগরিকত্ব নেন। সিঙ্গাপুরে অবস্থানকারী বিনিয়োগকারী হিসেবে তারা ২০০৪ সালের বাংলাদেশ–সিঙ্গাপুর দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তির আওতায় আন্তর্জাতিক সালিশি দাবি তুলেছেন।

এস আলমের আইনজীবী প্রতিষ্ঠানের দাবি, অন্তর্বর্তী সরকার তাদের সম্পদ জব্দ করেছে, ব্যাংক হিসাব ফ্রিজ করেছে, ‘মিথ্যা তদন্ত’ চালিয়েছে এবং গণমাধ্যমে ‘ইন্ধনমূলক প্রচারণা’ চালিয়েছে— যা বিনিয়োগ সুরক্ষা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন।

অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান

একসময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলে (আইএমএফ) কাজ করেছেন বর্তমান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। তিনি বলেছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে মামলার নোটিশ হাতে পাওয়ার পর আমরা আইনি পথে আমাদের জবাব দেবো।

কেএএ/