নেপালে অভ্যুত্থান পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে ১২৫ দল
নেতাদের সঙ্গে বিচারপতি সুশীলা কার্কি/ ছবি : এএফপি
সাম্প্রতিক গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করতে যাচ্ছে নেপাল। দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মার্চে অনুষ্ঠিতব্য সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য এখন পর্যন্ত ১২৫টি রাজনৈতিক দল নিবন্ধন করেছে।
জানা গেছে, আরও দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এ নিবন্ধন কার্যক্রম প্রক্রিয়া চালু থাকবে। ১৮ নভেম্বর সময়সীমা শেষ হওয়ার পর নতুন দলসহ সব নিবন্ধিত দলের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হবে।
কমিশনের মুখপাত্র নারায়ণ প্রসাদ ভট্টরাই বুধবার (৫ নভেম্বর) এএফপি'কে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি সব রাজনৈতিক দল ও নাগরিক নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে নতুন নেতৃত্ব আনতে আগ্রহী।
গত সেপ্টেম্বরের গণবিক্ষোভ ছিল এই নির্বাচনের প্রেক্ষাপট তৈরি করা এক ঐতিহাসিক ঘটনা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ দ্রুত দুর্নীতি ও অর্থনৈতিক সংকটবিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। দুই দিনের সহিংসতায় ৭৩ জন নিহত হয়। এতে উত্তেজিত জনতা পার্লামেন্ট ভবন, আদালত ও সরকারি দফতরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসলে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি কে অন্তর্বর্তীকালীন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে তিনি দেশকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে নিচ্ছেন। কার্কি গত ২৯ অক্টোবর রাজনৈতিক দল ও যুব প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রথম বৈঠক করেন। এতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলিসহ সব বড় দল অংশ নেয়।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, নেপালের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ এখনো অনিশ্চিত। জনসাধারণের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত দলগুলোর প্রতি গভীর অবিশ্বাস নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তবুও নির্বাচন কমিশনের মুখপাত্র ভট্টরাই বলেন, আমরা শান্তিপূর্ণ, নিরপেক্ষ ও ভয়ের মুক্ত পরিবেশে নির্বাচন আয়োজনে কমিশন দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
এদিকে বিশ্বব্যাংক থেকে জানানো হয়েছে, চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা নেপালের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি কমিয়ে ২দশমিক ১ শতাংশে নামিয়ে আনতে পারে।
সূত্র : এএফপি
কেএম