ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

লেবাননে হাসপাতালের কাছে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:০৫ পিএম, ০৮ নভেম্বর ২০২৫

লেবাননে একটি হাসপাতালের কাছে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। লেবাননের ন্যাশনাল নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জ্বাইল এলাকায় একটি হাসপাতালের কাছে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে এ থেকে কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির কথা উল্লেখ করা হয়নি। খবর আল জাজিরার।

সাম্প্রতিক সময়ে লেবাননে ইসরায়েলি হামলা বেড়ে গেছে। হিজবুল্লাহর যোদ্ধা এবং সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হচ্ছে বলে দাবি ইসরায়েলের।

এক বছরের যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও লেবাননের বিভিন্ন স্থানে হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। হিজবুল্লাহ ইসরায়েলকে লেবাননের অভ্যন্তরীণ বিভাজন কাজে লাগানো এবং নিরাপত্তা অভিযানের অজুহাতে আক্রমণ চালিয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গত সপ্তাহে সতর্ক করে দিয়েছিলেন যে ইসরায়েল লেবাননের ওপর আক্রমণ তীব্রতর করতে পারে।

লেবাননের জাতীয় সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, দক্ষিণ লেবাননের বিনতে জ্বাইল এলাকায় একটি হাসপাতালের কাছে একটি গাড়িতে ইসরায়েলি ড্রোন থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। তবে এতে কোনো হতাহতের কথা উল্লেখ করা হয়নি।

২০২৪ সালের নভেম্বর থেকে ইসরায়েল ও লেবাননের ইরান সমর্থিত সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহর মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর রয়েছে, তবুও ইসরায়েলি সেনারা এখনো দক্ষিণ লেবাননের অন্তত পাঁচটি এলাকায় অবস্থান করছেন ও নিয়মিত হামলা চালাচ্ছেন।

গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর ২০২৩ সালের অক্টোবরে সীমান্তে রকেট হামলা শুরু করে হিজবুল্লাহ। এতে উত্তর ইসরায়েলের হাজারো বাসিন্দাকে কয়েক মাস ধরে ঘরবাড়ি ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিতে হয়। টানা এক বছরেরও বেশি সময় ধরে উত্তেজনা চলার পর দুই মাসব্যাপী খোলা যুদ্ধের মুখে পড়ে দুই পক্ষ, যার অবসান ঘটে গত বছরের যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে।

তবে যুদ্ধবিরতি সত্ত্বেও ইসরায়েল লেবাননে বিমান হামলা বন্ধ করেনি। বরং সাম্প্রতিক দিনগুলোতে তা আরও বেড়েছে। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ইসরায়েল এক বিমান হামলায় হিজবুল্লাহর দীর্ঘদিনের নেতা হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যা করে। এসময় সংগঠনের আরও কয়েকজন শীর্ষ নেতা নিহত হন।

যুদ্ধবিরতির পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র লেবানন সরকারকে হিজবুল্লাহকে নিরস্ত্র করার জন্য চাপ দিচ্ছে। যদিও গোষ্ঠীটি ও তাদের মিত্ররা এই পদক্ষেপের বিরোধিতা করছে।

লেবানন সরকার জানিয়েছে, দেশজুড়ে অস্ত্রের ওপর রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ও এর বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে দক্ষিণাঞ্চল থেকে।

টিটিএন