অবসরের পর কী করবেন ওয়ারেন বাফেট?
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ওয়ারেন বাফেট/ ছবি: এএফপি
বার্কশায়ার হ্যাথওয়ের প্রধান নির্বাহী হিসেবে ওয়ারেন বাফেট শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশ্যে তার বার্ষিক বার্তায় বলেছেন, চলতি বছরের শেষে পদত্যাগ করার পর তিনি নীরবে থাকবেন। তিনি অনেকটাই লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যাবেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু ৯৫ বছর বয়সী ওয়ারেন বাফেট জানিয়েছেন, তিনি এখনই সবকিছু ছেড়ে দিচ্ছেন না। খবর সিএনএন।
প্রতিবছরই বার্ষিক সাধারণ সভা বা এজিএমের সময় বার্কশায়ারের শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে চিঠি দেন ওয়ারেন বাফেট। ১৯৬৫ সাল থেকেই এ রীতি চলে আসছে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। এবার শেয়ারহোল্ডারদের উদ্দেশে লেখা চিঠিতে নিজের অবসরের পর কী করবেন সে সম্পর্কে জানালেন ওয়ারেন বাফেট।
ওরাকাল অব ওমাহা বা ওমাহার জাদুকর হিসেবে খ্যাত ওয়ারেন বাফেট বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগ গুরু হিসেবে খ্যাত। শেয়ারহোল্ডারদের কাছে লেখা চিঠির মাধ্যমে তিনি ব্যতিক্রমী এক ভাবমূর্তি তৈরি করেছেন। তার বিভিন্ন পদক্ষেপ বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগকারীরা ঘনিষ্ঠভাবে অনুসরণ করে থাকেন। তবে ওয়ারেন বাফেট নিজেকে আমেরিকা, সাধারণ আমেরিকানদের জন্য এবং পুঁজিবাদের জন্য একজন চিয়ারলিডার হিসেবে উপস্থাপন করার জন্যও কাজ করেছেন।
জীবনযাপনেও তিনি খুব সাধারণ। মানুষ তাকে আপন মনে করে। তবে স্টক মার্কেটের বিষয়ে তিনি কী বলছেন বা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা সেদিকে তাকিয়ে থাকেন।
আগামী বছর বার্কশায়ারের প্রধান নির্বাহী হিসেবে বাফেটের স্থলাভিষিক্ত হবেন গ্রেগ আবেল (৬৩)। আবেল বর্তমানে এই কোম্পানির বিমা ব্যতীত অন্যান্য কার্যক্রমের ভাইস চেয়ারম্যান। ২০২১ সালেই আবেলকে পরবর্তী নেতৃত্ব হিসেবে মনোনীত করা হয়।
আবেলের বেশ প্রশংসা করেছেন ওয়ারেন বাফেট। তিনি বলেছেন, আবেলের কাছে তার যে প্রত্যাশা ছিল, আবেল তার চেয়ে বেশি দিয়েছেন। নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়েও তথ্য দিয়েছেন বাফেট। তিনি স্বীকার করেছেন যে, আশ্চর্যের বিষয় মনে হলেও তিনি বেশ ভালো বোধ করছেন। তিনি বলেন, যদিও আমি ধীরে ধীরে নড়াচড়া করি এবং প্রায়ই বেশ অসুবিধায় পড়ি তবে আমি সপ্তাহে পাঁচদিন অফিসে থাকি যেখানে আমি চমৎকার মানুষদের সঙ্গে কাজ করি।
তবে বয়স যে কমছে না, সে বিষয়েও তিনি সচেতন। নিজের বিপুল সম্পদ তিনি দান করে দিতে চান। এর মধ্যে আরেকটি দানের কথাও শেয়ারহোল্ডারদের জানিয়ে দিয়েছেন। ১৩৫ কোটি ডলার মূল্যের ১ হাজার ৮০০ শেয়ার বি শ্রেণির শেয়ারে রূপান্তরিত করে পরিবারের চারটি ফাউন্ডেশনে দান করেছেন। নিজের জীবদ্দশায় তিনি দানের গতি বাড়াতে চান বলেও জানিয়েছেন।
টিটিএন