তুর্কি-কুর্দি শান্তি আলোচনা
২৬ বছর ধরে কারাবন্দি পিকেকে নেতা ওজালান কি মুক্তি পাবেন?
কারাবন্দি পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালান/ ছবি : ব্রিটানিকা
তুরস্কে চার দশকের সশস্ত্র বিদ্রোহের ইতি টেনে শান্তির পথ বেছে নিয়েছে কুর্দিস্তান ওয়ার্কার্স পার্টি (পিকেকে)। শান্তি স্থাপনে আঙ্কারার এ উদ্যোগে মুক্তি পেতে পারেন কারাবন্দি পিকেকে নেতা আবদুল্লাহ ওজালান। শান্তি চুক্তির কেন্দ্রীয় ভূমিকায় রয়েছেন ২৬ বছর ধরে তুরস্কের কারাগারে বন্দি থাকা ওজালান।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) ইমরালি দ্বীপের কারাগারে থাকা ওজালানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন তুরস্কের তিন সংসদ সদস্য।
শান্তি চুক্তির করতে পিকেকে এ বছরের মে মাসে নিরস্ত্রীকরণ ও সংগঠন ভেঙে দেওয়ার ঘোষণা দেয়। জুলাইয়ে প্রতীকীভাবে অস্ত্র পোড়ানোর পাশাপাশি সম্প্রতি তুরস্ক থেকে যোদ্ধা প্রত্যাহারও শুরু করেছে সংগঠনটি। এছাড়াও সব ধরনের হামলা প্রায় বন্ধ রয়েছে।
ওজালানের বক্তব্য সংগ্রহ ও শান্তি প্রক্রিয়ার অগ্রগতি যাচাই করতেই সংসদ সদস্যদের এই সফর বলে জানিয়েছে সংসদীয় স্পিকার কার্যালয়। পিকেকের নেতৃত্বের ওপর ব্যাপক প্রভাব রয়েছে ৭৬ বছর বয়সী ওজালানের।
প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেছেন, এটি সন্ত্রাসবাদের অবসান ত্বরান্বিত করবে। বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক সমর্থন বাড়ানোর লক্ষ্যে এরদোয়ান হয়ত কুর্দি জনগোষ্ঠীর আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন।
রয়টার্সের হাতে আসা এক ভিডিও আলাপের ট্রান্সক্রিপ্টে ওজালান বলেছেন, পিকেকে ভেঙে দেওয়ার আহ্বান তিনি নিজ উদ্যোগে দিয়েছেন। পিকেকের শীর্ষ নেতারা রাষ্ট্রের প্রতি সন্দেহ প্রকাশ করলেও ওজালানের নেতৃত্বের প্রতি আনুগত্য দেখিয়েছেন।
ওজালানের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের পর প্রথম তার সঙ্গে কারাগারে দেখা করেছেন তারা। তার কারাবাসের পরিবেশ আগের চেয়ে বেশ কিছুটা উন্নত হয়েছে বলেও জানানো হয়।
এদিকে সরকার এমন একটি আইন প্রণয়নের প্রস্তুতি নিচ্ছে যার মাধ্যমে উত্তর ইরাকের পাহাড়ি এলাকায় আশ্রয় নেওয়া পিকেকে সদস্য ও সাধারণ মানুষ দেশে ফিরতে পারবেন। ওজালানও এই পদক্ষেপকে শান্তির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।
সূত্র : রয়টার্স
কেএম