ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

থাইল্যান্ড-কম্বোডিয়া সংঘাতে ঘরছাড়া ৫ লাখেরও বেশি মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ১০ ডিসেম্বর ২০২৫

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার প্রতিবেশী থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে চলমান সংঘাতের জেরে বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন দুই দেশের ৫ লাখেরও বেশি মানুষ। দেশ দুটির সরকারি কর্মকর্তাদের বরাতে বুধবার (১০ ডিসেম্বর) এই তথ্য জানিয়েছে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি।

থাইল্যান্ডের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সুরাসান্ত কংসিরি মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) ব্যাংককে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, কম্বোডিয়ার সীমান্তবর্তী গ্রাম-শহরগুলো থেকে ৪ লাখেরও বেশি মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। নাগরিকদের স্থানান্তরে সেনা ও পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন বলেও জানান তিনি।

একই দিন কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনে পৃথক সংবাদ সম্মেলনে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যালি সোচিয়েতা জানান, পাঁচটি প্রদেশ থেকে মোট ১ লাখ ১ হাজার ২২৯ জন নাগরিককে নিরাপদ সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন সেনা ও পুলিশের সদস্যরা।

দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই দেশের মাঝে রয়েছে ৮০০ কিলোমিটার দীর্ঘ সীমান্ত। এর মধ্যে ‘এমারেল্ড ট্রায়াঙ্গেল’ বা পান্না ত্রিভুজে মিলিত হয়েছে থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া ও লাওসের সীমান্ত। এই ট্রায়াঙ্গেল-ই মূলত উত্তেজনার কেন্দ্র। প্রাচীন মন্দির ও ধর্মীয় স্থানে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটিকে উভয় দেশই নিজেদের বলে দাবি করে আসছে।

এই সংকটের ইতিহাস এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো। ফ্রান্সের উপনিবেশ থাকা অবস্থায় ১৯০৭ সালে কম্বোডিয়ার মানচিত্র প্রকাশ করে ফ্রান্স, যেখানে পান্না ত্রিভূজকে কম্বোডিয়ার অংশ হিসেবে দেখানো হয়। তখনই এর বিরোধিতা করে থাইল্যান্ড।

১৯৫৩ সালের ৯ নভেম্বর কম্বোডিয়া ফরাসি শাসন থেকে স্বাধীনতা পেলেও পান্না ত্রিভূজের নিয়ন্ত্রণ ধরে রাখে দেশটি। আর এতে দুই দেশের সম্পর্ক আর স্বাভাবিক হতে পারেনি।

দীর্ঘ কয়েক দশকের উত্তেজনার পর প্রায় ১৫ বছর আগে যুদ্ধবিরতিতে গিয়েছিল দুই দেশ। তবে গত বছরের মে মাসে উত্তেজনা আবার বাড়তে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ের শেষদিকে দুই দেশের সেনাবাহিনী সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পাঁচ দিনের সেই লড়াইয়ে নিহত হন দুই দেশের ৪৮ জন, আর ঘরছাড়া হন ৩ লাখ মানুষ। পরে যুক্তরাষ্ট্র ও মালয়েশিয়ার মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি হয়।

চার মাসের বেশি শান্ত থাকার পর রোববার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় দুপুর ২টার পর থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী সি সা কে প্রদেশে আবারও সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৩ জন মারা গেছেন ও আহত হয়েছে আরও কয়েক ডজন।

সূত্র: এএফপি

এসএএইচ