ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ
দনবাসে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
দীর্ঘ যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে ইউক্রেনের দনবাসের পূর্বাঞ্চলের কয়েকটি এলাকা নিয়ে একটি ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ তৈরির প্রস্তাব দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ প্রস্তাবের মাধ্যমে রাশিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তির অংশ হিসেবে ইউক্রেন দনবাস থেকে সেনা প্রত্যাহার করবে।
বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) এমনটাই জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
এক বিবৃতিতে জেলেনস্কি বলেন, কিয়েভ যুক্তরাষ্ট্রকে হালনাগাদ করা একটি শান্তি পরিকল্পনা দিয়েছে। এ পরিকল্পনা একটি নয় বরং বেশ কয়েকটি নথির সমষ্টি যার অনেকগুলোই এখনও চূড়ান্ত করা বাকি। ট্রাম্প প্রশাসন বড়দিনের আগেই পরিকল্পনার বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা চাইছে।
তিনি বলেন, রাশিয়ানরা পুরো দনবাস চায় কিন্তু আমরা অবশ্যই তা মানি না। রাশিয়া ২০১৪ সাল থেকে দনবাস অঞ্চলে (দোনেৎস্ক ও লুহান্সক) যুদ্ধ চালিয়ে আসছে। তারা যুদ্ধের মাধ্যমে তারা যেটি অর্জন করতে পারেনি তা যুক্তরাষ্ট্র-মধ্যস্থ শান্তি আলোচনার মাধ্যমে পেতে চাইছে।
জেলেনস্কি বলেন, আমাদের অবস্থান হলো আমরা যেখানে অবস্থান নিয়ে আছি অর্থাৎ যোগাযোগ রেখার সেখানেই থাকা ন্যায্য। তিনি জানান, এই দুই ভিন্ন অবস্থানের মধ্যে আলোচনা চলছে, কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
সমঝোতার জায়গা হিসেবে জেলেনস্কি জানান, যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তাব করেছে যে দনবাসের যেসব অংশ থেকে ইউক্রেন সেনা প্রত্যাহার করবে সেসব এলাকায় মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি করা যেতে পারে। তবে রাশিয়া এই এলাকাকে অসামরিক এলাকা বলে উল্লেখ করছে।
তবে এতে কূটনৈতিক অচলাবস্থা ভাঙার সম্ভাবনা থাকলেও বেশ কিছু বিষয়ে এখনো সিদ্ধান্ত নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়েছে। কে ওই অঞ্চল পরিচালনা করবে এবং সেনা প্রত্যাহার কতটা ন্যায্য ও সমান্তরাল হবে এসব বিষয়ে গুরুতর প্রশ্ন রয়ে গেছে বলে জানান জেলেনস্কি।
তিনি আরও বলেন, এ ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ কে পাহারা দেবে, সেটিও বড় প্রশ্ন।
জেলেনস্কি আরও বলেন, যদি কিছু সেনা প্রত্যাহার করতে হয় এবং অন্যরা আগের অবস্থানে থাকে, তাহলে কীভাবে নিশ্চিত করা হবে যে রাশিয়ান সেনারা আরও এগিয়ে যাবে না? কিংবা ‘নাগরিক’ সেজে ওই মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চলে ঢুকে সেটির নিয়ন্ত্রণ নেবে না? বিষয়টি অত্যন্ত গুরুতর।
ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট সতর্ক করে বলেছেন, ইউক্রেন হিসেবে আমরা এটি মেনে নেব এটা নিশ্চিত নয়। আমাদেরকে যদি সমঝোতার কথা বলেন, তাহলে ন্যায্য সমঝোতা দিতে হবে।
সূত্র : সিএনএন
কেএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ তুর্কমেনিস্তানে একত্রিত রাশিয়া, তুরস্ক ও ইরানের প্রেসিডেন্টরা
- ২ দনবাসে ‘মুক্ত অর্থনৈতিক অঞ্চল’ প্রতিষ্ঠার প্রস্তাব যুক্তরাষ্ট্রের
- ৩ ভেনেজুয়েলার সরবরাহ নিয়ে উদ্বেগে বিশ্ববাজারে তেলের দাম বাড়লো
- ৪ মাদুরোর ৩ ভাতিজা ও ৬ শিপিং কোম্পানির ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা
- ৫ সংসদ ভেঙে দেওয়ার উদ্যোগ নিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী