সীমান্ত বন্ধ করেছে কম্বোডিয়া, নতুন অভিযান শুরু থাইল্যান্ডের
কম্বোডিয়ায় একটি ক্ষতিগ্রস্ত সেতু। ছবি: এএফপি
থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী সার্বভৌম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করার লক্ষে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে নতুন একটি অভিযান শুরু করেছে, যার মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতাসহ বিভিন্ন মধ্যস্থতা প্রচেষ্টা প্রত্যাখ্যান করা হলো।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার এই দুই দেশের মধ্যে সহিংসতা রোববারও (১৪ ডিসেম্বর) অব্যাহত রয়েছে। এর আগে উত্তরের প্রতিবেশী থাইল্যান্ডের সঙ্গে সব সীমান্ত পারাপার বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দেয় কম্বোডিয়া।
এই সংঘাতের মূল কারণ হলো তাদের ৮০০ কিলোমিটার (৫০০ মাইল) যৌথ সীমারেখা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ। এই লড়াইয়ে এ পর্যন্ত অন্তত ২৫ জন সেনা ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন এবং উভয় পক্ষেই অর্ধ-মিলিয়নের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
থাই পত্রিকা মাতিচন অনলাইন রয়্যাল থাই নেভির মুখপাত্র রিয়ার অ্যাডমিরাল পারাচ রাট্টানাচাইয়াপানের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, তাদের বাহিনী উপকূলীয় প্রদেশ ত্রাতের একটি এলাকায় থাই সার্বভৌম ভূখণ্ড পুনরুদ্ধারের জন্য একটি সামরিক অভিযান শুরু করেছে।
রাট্টানাচাইয়াপান থাই পত্রিকাটিকে বলেন, আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী আত্মরক্ষার নীতি এবং জাতীয় সার্বভৌমত্ব রক্ষারভিত্তিতে এই অভিযানটি ভোরের প্রথম প্রহরে তীব্র সংঘর্ষের মাধ্যমে শুরু হয়।
থাই সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা সফলভাবে এলাকাটি নিয়ন্ত্রণে এনে পুনরুদ্ধার করেছে এবং সব বিরোধী বাহিনীকে বিতাড়িত করেছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল থাই পিবিএসও জানায়, ওই এলাকায় সব বিরোধী বাহিনীকে হটিয়ে দেওয়ার পর দেশটির সেনাবাহিনী সেখানে থাই জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেছে।
থাইল্যান্ডের টিভি ৩ মর্নিং নিউজ সেনাবাহিনীর উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, রোববার ভোর পর্যন্ত দেশের স্থলবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনী সীমান্তজুড়ে তাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে।
সর্বশেষ এই ঘটনায় হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
রোববারের সর্বশেষ সংঘর্ষ নিয়ে এখনো কম্বোডিয়ার সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেওয়া হয়নি।
তবে কম্বোডিয়ার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সীমান্তবর্তী পুরসাত প্রদেশের থমার দা এলাকায় ভোরের আগে গোলাবর্ষণের খবর পাওয়া গেছে—যে এলাকাতেই থাই সেনাবাহিনী অভিযান চালানোর দাবি করেছে।
সূত্র: আল-জাজিরা
এমএসএম