ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

স্কুলড্রেস নিয়ে সহপাঠীদের কটাক্ষ, ভারতে ৯ বছরের শিশুর আত্মহত্যা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৪:৪৩ পিএম, ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের হায়দরাবাদে স্কুলড্রেস নিয়ে নিয়ে সহপাঠীদের কটাক্ষ থেকে সৃষ্ট মানসিক অস্থিরতার জেরে আত্মহত্যা করেছে ৯ বছরের একটি শিশু। শিশুটির নাম প্রশান্ত, সে স্থানীয় একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

পোশাক ঠিকভাবে না পরার অভিযোগে সহপাঠীদের হয়রানির শিকার হয়ে এক ৯ বছর বয়সী শিশু আত্মহত্যা করেছে। নিহত শিশুটির নাম প্রশান্ত। সে চতুর্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে এবং শিশুটির বাবা–মায়ের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়েছে।

প্রশান্ত হায়দরাবাদের চন্দনগর এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ অনুযায়ী, স্কুলের ইউনিফর্ম সঠিকভাবে না পরা নিয়ে সহপাঠীরা তাকে বারবার কটূক্তি ও বিদ্রূপ করতো। এতে সে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিল।

মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পর বাড়িতে একা পেয়ে প্রশান্ত বাথরুমে ঢুকে পড়ে। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, সেখানেই সে নিজের স্কুল আইডি কার্ডের ফিতা (ল্যানইয়ার্ড) ব্যবহার করে গলায় ফাঁস দেয়।

পরিবারের সদস্যরা দ্রুত তাকে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। তবে চিকিৎসকরা সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য গান্ধী হাসপাতালে পাঠায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে শিশুটির মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে শেষকৃত্য সম্পন্ন করা হয়।

নিহত প্রশান্তের বাবা শংকর জানান, তার ছেলে খুবই চঞ্চল ছিল ও কারও সঙ্গে তার কোনো শত্রুতা বা সমস্যা ছিল না। সংবাদ সংস্থা আইএএনএসকে তিনি বলেন, ও খুব স্বাভাবিক ও হাসিখুশি ছেলে ছিল।

শংকর পেশায় একটি আবাসিক ভবনের নৈশ প্রহরী। এর আগে তিনি সেই একই স্কুলে গাড়িচালকের কাজ করতেন, যেখানে তার ছেলে পড়াশোনা করতো।

এই মর্মান্তিক ঘটনার পর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বুলিং বা হয়রানির বিষয়টি নতুন করে আলোচনায় এসেছে। পুলিশ ও শিক্ষা দপ্তরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্কুল, কলেজ ও অনলাইন মাধ্যমে হয়রানি রোধে কঠোর আইনগত বিধান রয়েছে।

কর্তৃপক্ষের মতে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো নির্দিষ্ট অ্যান্টি-বুলিং নীতিমালার আওতায় পরিচালিত হয়। অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী দোষী শিক্ষার্থীদের তাৎক্ষণিক বহিষ্কার বা অন্য প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হতে পারে। পাশাপাশি বাধ্যতামূলক মনস্তাত্ত্বিক কাউন্সেলিং এবং বয়স ও অপরাধের ধরন অনুযায়ী আইনি ব্যবস্থাও নেওয়া হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও শিশু অধিকারকর্মীরা বলছেন, এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা এড়াতে স্কুলগুলোতে আরও শক্তিশালী মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ব্যবস্থা গড়ে তোলা জরুরি।

সূত্র: এনডিটিভি

এসএএইচ