ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

আসন্ন নির্বাচনে জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করছে মিয়ানমারের জান্তা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৩:৪৮ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

আসন্ন সামরিক নিয়ন্ত্রিত নির্বাচনে মানুষকে ভোট দিতে বাধ্য করতে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ভয়ভীতি ও সহিংসতার পন্থা অবলম্বন করছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। একই সঙ্গে ভোট ঠেকাতে সশস্ত্র বিরোধী গোষ্ঠীগুলোর সহিংসতার কথাও উল্লেখ করেছে সংস্থাটি।

জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ভোটে অংশ নিতে মানুষকে জোর করা এবং ভিন্নমত প্রকাশের কারণে গ্রেফতার বন্ধ করতে হবে।

আগামী রোববার (২৮ ডিসেম্বর) থেকে মিয়ানমারে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা। সামরিক সরকার এটিকে গণতন্ত্রে ফেরার পথ বলে দাবি করলেও আন্তর্জাতিক মহল এই নির্বাচনকে সামরিক শাসনের নতুন রূপ বলে মনে করছে।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করা হয়। এরপর থেকেই দেশটি গৃহযুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। সাবেক নেত্রী অং সান সু চি এখনও কারাবন্দি এবং তার দল ভেঙে দেওয়া হয়েছে।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, ‘নির্বাচন সুরক্ষা আইন’-এর আওতায় মত প্রকাশের কারণে বহু মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অনেককে কঠোর শাস্তিও দেওয়া হয়েছে। ইয়াঙ্গুন অঞ্চলে তিন যুবককে নির্বাচনবিরোধী পোস্টার টাঙানোর দায়ে ৪২ থেকে ৪৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বাস্তুচ্যুত মানুষদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে—ভোট দিতে না এলে তাদের ওপর হামলা বা বাড়িঘর দখল করা হবে। জাতিসংঘ বলেছে, জোর করে মানুষকে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় ফিরতে বাধ্য করা মানবাধিকার লঙ্ঘন।

অন্যদিকে, সামরিক সরকারের বিরোধী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোও ভোটে অংশ না নিতে হুমকি দিচ্ছে। কিছু এলাকায় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট দপ্তরে বোমা হামলার ঘটনাও ঘটেছে, যাতে নির্বাচনকর্মীরা আহত হয়েছেন।

ভলকার টুর্ক বলেন, এই নির্বাচন সহিংসতা ও দমননীতির পরিবেশে হচ্ছে। মতপ্রকাশ, সংগঠন ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা না থাকায় জনগণের মুক্ত ও অর্থবহ অংশগ্রহণ সম্ভব নয়।

সূত্র: এএফপি

এমএসএম