ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের অস্ত্র কিনছে লিবিয়ার হাফতার বাহিনী, ৪৬০ কোটি ডলারের চুক্তি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৫:৩৩ পিএম, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৫

লিবিয়ার প্রভাবশালী সামরিক নেতা জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ)–এর কাছে ৪৬০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি মূল্যের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত করেছে পাকিস্তান। চুক্তির আওতায় চীনের সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত যুদ্ধবিমানও রয়েছে। যদিও বর্তমানে ত্রিপোলি সরকার কিংবা হাফতার বাহিনীর উল্লেখযোগ্য কোনো বিমানবাহিনী নেই।

চুক্তিটি দুই বছর ছয় মাসে বাস্তবায়ন করা হবে। এতে স্থল, নৌ ও আকাশপথে ব্যবহৃত সামরিক সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত থাকবে। চুক্তির মোট মূল্য ৪ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার পর্যন্ত হতে পারে যা হবে পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় অস্ত্র রপ্তানি চুক্তি।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স–এর প্রতিবেদনের তথ্য মতে, হাফতারের বাহিনী ১৬টি জেএফ-১৭ যুদ্ধবিমান কিনবে। এটি পাকিস্তান ও চীনের যৌথভাবে উন্নত মাল্টিরোল ফাইটার জেট। পাশাপাশি এ চুক্তির আওতায় দেওয়া হবে ১২টি সুপার মুশাক প্রশিক্ষণ বিমান যা পাইলটদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণে ব্যবহৃত হয়। এছাড়া বিপুল পরিমাণ সামরিক অস্ত্র সরঞ্জাম রয়েছে এ চুক্তিতে।

গত সপ্তাহে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল আসিম মুনির লিবিয়ার বেনগাজি সফরে গিয়ে হাফতারের ছেলে সাদ্দাম হাফতারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই বৈঠকেই অস্ত্র বিক্রির চুক্তি চূড়ান্ত হয়।

বেনগাজিতে এলএনএ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে দেওয়া বক্তব্যে মুনির বলেছেন, লিবিয়া হলো সিংহের দেশ। আপনাদের সশস্ত্র বাহিনীকে যতটা সম্ভব শক্তিশালী করুন। কারণ সশস্ত্র বাহিনীই রাষ্ট্রের অস্তিত্ব নিশ্চিত করে।

২০১৯ সালে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব, মিসর ও রাশিয়ার সমর্থনে ত্রিপোলি দখলের চেষ্টা চালালেও ব্যর্থ হন হাফতার। সে সময় তুরস্ক ত্রিপোলি সরকারের পক্ষে সামরিক হস্তক্ষেপ করে। তখন সেনা মোতায়েন এবং টিবি-২ ড্রোন পাঠিয়েছিল এরদোয়ানের প্রশাসন। এরপর থেকে তুরস্ক লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলে হাজার হাজার সেনা মোতায়েন করেছে এবং ত্রিপোলি সরকারের সঙ্গে একটি বিতর্কিত সামুদ্রিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।

২০২১ সালে জাতিসংঘের উদ্যোগে লিবিয়ায় নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে দবেইবাকে প্রধানমন্ত্রী করা হয়। তবে প্রত্যাশিত নির্বাচন না দিয়ে তিনি ক্ষমতা সুসংহত করেছেন। ত্রিপোলির শক্তিশালী মিলিশিয়াদের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় টিকে আছেন।

বিশ্লেষকদের মতে, এই অস্ত্রচুক্তি তেলসমৃদ্ধ উত্তর আফ্রিকার দেশ লিবিয়ায় সামরিক শক্তির ভারসাম্য নাটকীয়ভাবে বদলে দিতে পারে। বর্তমানে হাফতার বাহিনী লিবিয়ার পূর্বাঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করেছে। আর পশ্চিমাঞ্চলে রাজধানী ত্রিপোলিভিত্তিক জাতিসংঘ-স্বীকৃত সরকার পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা।

কেএম