ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ওবামাবিরোধী আক্রমণে নতুন মাত্রা

প্রকাশিত: ০৮:৩৪ এএম, ১২ এপ্রিল ২০১৫

অদ্ভুত হলেও সুস্পষ্ট; ওবামা সরকারের সময় যতই ফুরিয়ে আসছে রিপাবলিকানরা ভয়ংকর ক্রোধ নিয়ে তার দিকে যেন ধেয়ে আসছেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই রিপাবলিকান আইনপ্রণেতারা ওবামা সরকারের কার্যবিরোধী বক্তব্য দেয়ার পাশাপাশি তাকে ব্যক্তিগতভাবেও আক্রমণ করে আসছিল।

কিন্তু বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি অতীতের সব ঘটনাকে ছাড়িয়ে যেন নতুন মাত্রা লাভ করছে। কেবল ওবামার সরকারের কর্মপন্থা ও প্রকল্পের সমালোচনা করেই রিপাবলিকানরা থেমে নেই, তারা এখন এই সরকারের বৈধতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছে!

সাম্প্রতিক অতীতে ওবামার আমেরিকান নাগরিকত্ব নিয়ে রিপাবলিকানরা যেভাবে প্রশ্ন তুলেছে এবারের অভিযোগ যেন তারই প্রতিধ্বনি। চরম বর্ণবাদমূলক ছিল সেসকল অভিযোগ- ওবামা একজন কৃষ্ণাঙ্গ, সে আফ্রিকান বংশোদ্ভূত, এবং গোপনে একজন মুসলিম! বর্তমান অভিযোগগুলো শুনতে কিছুটা লঘু মনে হলেও এর মূলে কিন্তু সেই জাতিগত বিদ্বেষই জড়িয়ে আছে।

ওবামা সরকারের ওপর সবচেয়ে নিষ্ঠুর আক্রমণটা হলো এই সেদিন, যেদিন ৪৭ রিপাবলিকানপন্থী সিনেট সদস্য ইরান সরকারকে চিঠির মাধ্যমে দাবি করে জানিয়েছে, ইরানের পারমাণবিক প্রকল্প নিয়ে সন্ধি স্থাপনের কোনো সুযোগ ওবামা সরকারের নেই।

যদি ডেমোক্র্যাটরা ১৯৮৬-তে একইভাবে ক্রেমলিন সরকার মিখাইল গর্ভাচেভকে চিঠির মাধ্যমে অভিযোগ করতেন, পারমাণবিক চুক্তি করার কোনো অধিকারই নেই রোনাল্ড রিগ্যানে কর্তৃপক্ষের, তবে রিপাবলিকানদের প্রতিক্রিয়াটা কেমন হতো একবার কল্পনা করুন! অথচ সেদিনকার সেই ঘটনার সঙ্গে আজকের ইরান আলোচনার সাথে কার্যত কোনো পার্থক্যই নেই।

ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট কোলবার্ট কিং ওবামার প্রতি রিপাবলিকানদের অভিযোগের একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করেছে। দুঃখজনক হলেও সত্যি, বেশির ভাগ আমেরিকানই বিশ্বাস করেন এসব অভিযোগের সবটাই গৃহযুদ্ধের সময়ই মীমাংসিত হয়েছিল।

ওবামা সরকারের সাম্প্রতিক অভিবাসন ও দূষণ দমন-নীতির সমালোচনা করে রিপাবলিকানরা অভিযোগ করেছেন, ওবামা রাজার মতো আচরণ করছেন, যিনি সবকিছুর ঊর্ধ্বে। কী এক আহাম্মক্কি!

অথচ এই একই রিপাবলিকনদের কোনো অভিযোগ ছিল না সেদিন, যেদিন সন্দেহজনক অপরাধীদের জেরা করার নামে অত্যাচার ও আমেরিকান নাগরিকদের ফোন টেপ করার অনুমতি দিয়েছিলেন জর্জ বুশ।

বলা বাহুল্য, নির্বাহী আদেশসমূহের বিরুদ্ধে আদতে রিপাবলিকানদের কোনো অভিযোগ নেই, সব অভিযোগ ওবামা ও ওবামার নীতির বিরুদ্ধেই।

ওটি/বিএ/এমএস