লাদেন অভিযান নিয়ে বোমা ফাটালেন মার্কিন সাংবাদিক
আল-কায়েদা নেতা ওসামা বিন লাদেনকে ধরতে মার্কিন বাহিনী যে অভিযান চালিয়েছিল তা ছিল লোক দেখানো। আসলে লাদেন সম্পর্কে অনেক আগেই জানতে পেরেছিলেন প্রেসিডেন্ট ওবামা। আর এ অভিযান নিয়ে এতোদিন ওবামা যে কথা বলে আসছেন তা সবই মিথ্যা। পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী আমেরিকার খ্যাতনামা অনুসন্ধানী সাংবাদিক ও লেখক সিইমুর হার্শ এক নিবন্ধে এসব কথা বলেছেন। তার এ নিবন্ধ লন্ডন বুক রিভিউতে প্রকাশিত হয়েছে।
ওই নিবন্ধে আরো বলা হয়েছে, ওসামার লাশ সাগরে ফেলা হয়নি বরং তা আফগানিস্তানেই কবর দেয়া হয়েছে। আমেরিকা ও পাকিস্তানের সাবেক গোয়েন্দা সূত্রের বরাত দিয়ে এ সব তথ্য দিয়েছেন হার্শ। লাদেনবিরোধী অভিযানকে `অপারেশন নেপচুন স্পেয়ার` সাংকেতিক নামে পরিচিত। `অপারেশন নেপচুন স্পেয়ার` সম্পর্কে যেসব তথ্য ও বিবৃতি মার্কিন সরকার প্রকাশ করেছে তাকে বানোয়াট ও রূপকথা হিসেবে অভিহিত করেছেন হার্শ।
কথিত ওই অভিযান চালিয়ে বিন লাদেনকে হত্যার বিষয় পাক কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন মার্কিন শীর্ষ স্থানীয় কর্মকর্তারা। অভিযান সম্পর্কে তৎকালীন পাক সেনা কর্মকর্তা জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানি এবং আইএসআই প্রধান জেনারেল আহমেদ শুজা পাশাকে অবহিত করা হয় নি বলে যে কথা বলা হয়েছে তাকে সরাসরি `ডাহা মিথ্যা` বলেছেন হার্শ।
এ ছাড়া, অভিযানের বহু আগে থেকে বিন লাদেনের সঙ্গে সে সময় আল-কায়েদা চক্রের কোনো যোগাযোগই ছিল না। দীর্ঘদিন ধরেই এ যোগাযোগ বিছিন্ন করে দেয়া হয়েছিল বলেও জানান হার্শ।
অভিযানের দিন বিল-লাদেনের বাসভবনের আশেপাশের পুরো এলাকার বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেয় আইএসআই। পাকিস্তানের ভূখণ্ডে মার্কিন হেলিকপ্টারকে ঢুকতে যেন পাক বাহিনী বাধা না দেয় তাও নিশ্চিত করেছে আইএসআই।
এ ছাড়া, মার্কিন বিশেষ নৌ কমান্ডো সিল-এর সদস্যদের সঙ্গে লাদেনবিরোধী অভিযান চালানোর সময় কোনো গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেনি বলেও হার্শ জানিয়েছেন। তিনি বলেন, কেবলমাত্র `অসহায়, দুর্বল এবং নিরস্ত্র` লাদেনকে হত্যার জন্যেই এক তরফা গুলি চালানো হয়েছে। বিন-লাদেনের বাসভবন থেকে কোনো গোপন তথ্যেই উদ্ধার করা যায় নি বলেও জানান হার্শ।
জেআর/বিএ/আরআইপি
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ জাপানে ৭ দশমিক ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প, তিন প্রদেশে সুনামি সতর্কতা
- ২ ইউরোপের ২৯ দেশে বেড়েছে সাইবার বুলিং, নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ
- ৩ গাজার অর্ধেক নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রাখার ইঙ্গিত ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর
- ৪ বাবরি মসজিদে প্রথম আঘাতকারী ব্যক্তির জীবনে কী ঘটেছিল?
- ৫ কঠোর হলো অভিবাসন নীতি, ইউরোপ না ছাড়লে হতে পারে দীর্ঘ সময়ের জেল