যুক্তরাষ্ট্রকে এটিএম বুথ মনে করে পাকিস্তান
যুক্তরাষ্ট্রকে এটিএম বুথ হিসেবে মনে করে পাকিস্তান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া অধিকাংশ ঋণ পাক সেনাবাহিনীর উন্নয়নে শেষ হয়ে যায়। মার্কিন সেনাবাহিনীর বেসরকারি ঠিকাদার রেমন্ড ডেভিস তার লেখা বই ‘দ্য কন্ট্রাক্টর’ এ এসব কথা লিখেছেন।
রেমন্ড ডেভিস লেখেন, পাকিস্তানের জন্য কোনো পরিমাণ অর্থই যথেষ্ট নয়। যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া ঋণ তারা ঘৃণা ছড়াতে ব্যবহার করে এবং কখনোই তারা মার্কিন সহায়তা ছাড়া চলতে পারবে না।
৪২ বছর বয়সী ডেভিস দুইজন পাকিস্তানি নাগরিককে হত্যার অভিযোগে ২০১১ সালে লাহোরে গ্রেফতার হন। তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র এবং পাকিস্তানের মধ্য চরম কূটনৈতিক সংকট দেখা দেয়।
নিজের দেখা অভিজ্ঞতা থেকে ডেভিস লেখেন, যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া সাহায্য বেশিরভাগ ক্ষেত্রে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর কল্যাণেই শেষ হয়ে যায়। বেসামরিক নাগরিকদের জন্য সামান্য অর্থও ব্যয় করা হয় না। অথচ সেখানকার অধিকাংশ মানুষ চরম অর্থকষ্টে দিনাতিপাত করছে।
পাকিস্তানের প্রকৃত ক্ষমতা সামরিক বাহিনীর হাতে উল্লেখ করে ডেভিস লেখেন, সেখানকার রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং প্রধানমন্ত্রী সরকার পরিচালনা করলেও প্রকৃত ক্ষমতা থাকে সেনাবাহিনীর হাতে।
প্রায় ছয় যুগ আগে পাকিস্তান রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলেও এখন পর্যন্ত দেশটি সেভাবে সামরিক আইনের বাইরে বেরিয়ে আসতে পারেনি। দেশের মোট বাজেটের অর্ধেক বরাদ্দ থাকে সেনাবাহিনীর খাতে। ২০০৭ সালেও দেশটিতে মার্শাল ল জারি ছিল।
১৯৫৪ সাল থেকে ১৯৫৯ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে ১ দশমিক ২৮ বিলিয়ন ডলার ঋণ দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০১১ সালে এসে সেই হিসাব দাঁড়ায় ৬৭ বিলিয়ন ডলারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
কেএ/এসআইএস/জেআইএম
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ অযোধ্যায় রাম মন্দিরের কাজ শেষ হলেও মসজিদ নির্মাণ এগোয়নি কেন?
- ২ আকাশছোঁয়া দামে ‘ওয়ার্নার ব্রাদার্স’ কিনে নিচ্ছে নেটফ্লিক্স
- ৩ নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তি স্থাপনের দিন মুর্শিদাবাদে ‘হাই অ্যালার্ট’
- ৪ বন্যা পরিস্থিতি অবনতির শঙ্কা, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৬১১
- ৫ হাসিনাকেই ঠিক করতে হবে তিনি কতদিন ভারতে থাকবেন: জয়শঙ্কর