ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

অভিবাসীদের দ্বীপে সাংবাদিক প্রবেশে মিয়ানমারের বাধা

প্রকাশিত: ০৫:৫১ এএম, ০১ জুন ২০১৫

সাগর থেকে সাত শতাধিক অভিবাসীকে উদ্ধারের পর যে দ্বীপটিতে তাদের রাখা হয়েছে সেখানে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না মিয়ানমার নৌবাহিনী। ফলে উদ্ধার হওয়ার পর ওই সকল অভিবাসী কী অবস্থায় সেখানে আছে, তাদের সেখানে কী খেতে দেয়া হচ্ছে কিছুই জানা যাচ্ছে না। মূলত উদ্ধার হওয়ার পর থেকেই সাংবাদিকরা ওই দ্বীপে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েও ব্যর্থ হচ্ছেন। খবর এএফপি।

খবরে বলা হয়, উদ্ধার হওয়া অভিবাসীদের ইরাওয়াদ্দি নদীর মোহনায় অবস্থিত থামি হ্লা দ্বীপটিতে সাংবাদিকরা ছোট ছোট নৌকায় প্রবেশের চেষ্টা করলে মিয়ানমারের নৌবাহিনী তাদের গতিরোধ করে ফেরত পাঠাচ্ছে। এমনকি সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজগুলোও মুছে ফেলতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে জানান পার্শ্ববর্তী দ্বীপ হায়ইগায়িতে অবস্থান করা বার্তা সংস্থা এএফপির এক প্রতিবেদক।  

এছাড়া ফিরে আসা সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, আসার সময় তাদের কাছ থেকে পুনরায় ওই দ্বীপে প্রবেশের চেষ্টা না করার প্রতিশ্রুতি সংবলিত দলিলপত্রেও জোর করে স্বাক্ষর রাখা হয়েছে!

এদিকে, মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যার মতো পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে বলে নোবেল বিজয়ীদের করা মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির সরকার। তাদের দাবি, সরকার রাখাইন রাজ্যে বৌদ্ধ ও মুসলিমদের মধ্যে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালাচ্ছে।

মিয়ানমারের পত্রিকায় রোববার প্রকাশ হওয়া দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এ ধরনের ভারসাম্যহীন ও নেতিবাচক মন্তব্য প্রত্যাখ্যান করছে মিয়ানমার সরকার।

এর আগে একদল নোবেল বিজয়ী এক বিবৃতিতে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের ওপর চালানো অত্যাচার গণহত্যার চেয়ে কম নয় বলে উল্লেখ করে। বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকার ডেসমন্ড টুটু, ইরানের শিরিন এবাদি ও পূর্ব তিমুরের সাবেক প্রেসিডেন্ট জোসে রামোস হোর্তা রয়েছেন। নোবেল বিজয়ীদের বিবৃতির পরিপ্রেক্ষিতে মিয়ানমার সরকারের পক্ষ থেকে পাল্টা বিবৃতি দেয়া হল।

জেআর/এমএস