ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

ভারতের সিভিল পরীক্ষায় প্রথম হলেন প্রতিবন্ধী নারী

প্রকাশিত: ০৩:৩৭ পিএম, ০৫ জুলাই ২০১৫

প্রতিবন্ধিতাকে জয় করে ভারতের সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার ফলাফলে প্রথম স্থান দখল করে নিয়েছেন অদম্য মেধাবী নারী ইরা সিঙ্ঘল। দিল্লীর বাসিন্দা ইরা ৬২ ভাগ চলাচলে অক্ষম। ৩০ বছর বয়সী এই যুবতীকে থামিয়ে রাখতে পারেনি তার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা।

২০১০ সালে তিনি ইন্ডিয়ান রেভিনিউ সার্ভিস পরীক্ষায় সফল হয়েছিলেন। কিন্তু শারীরিকভাবে সক্ষম না হওয়ায় সে সময় তাকে চাকরিতে নিয়োগ দেয়নি কর্তৃপক্ষ।

প্রতিকূলতার কাছে হার মানেননি ইরা। তিনি আবারো প্রমাণ করেছেন নিজের মেধা ও যোগ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব। সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রিবিউনালের সহায়তায় তিনি যে শারীরিকভাবে সক্ষম, সেই রিপোর্ট জমা দেন। তারপর দু’বছর ইরা নিজের দক্ষতা প্রমাণ করেন কর্মক্ষেত্রে। দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে সকলে একথা মানতে বাধ্য হন যে তিনি শারীরিকভাবে সক্ষম।

এরপর তিনি কাস্টমস অ্যান্ড সেন্ট্রাল এক্সাইজ সার্ভিসে অ্যাসিসট্যান্ট কমিশনার পদে নিযুক্ত হন। বর্তমানে অন্ধ্রপ্রদেশের হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউটের ড. ম্যারি চান্না রেড্ডির তত্ত্বাবধানে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন ইরা।

ইরা পরীক্ষায় নিজের প্রস্তুতি নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। নিজের ফলাফল ভালো হবে, সে ব্যাপারে এক প্রকার নিশ্চিত ছিলেন তিনি। তবে একেবারে প্রথম হওয়াটা তার কাছে অপ্রত্যাশিত। ফল প্রকাশের দিন প্রথমে একজন বন্ধুর থেকে সুখবরটি পান ইরা। বলেন, ‘আমি উল্লসিত, উত্তেজিত এবং খুব খুব খুশি হয়েছি।’

ভবিষ্যতে একজন সফল আইএএস অফিসার হওয়ার স্বপ্ন দেখেন ইরা। সমাজে প্রতিবন্ধী এবং মহিলা ও শিশুদের উন্নতির জন্যও কিছু করতে চান দিল্লীর এই সংগ্রামী নারী। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার সময় তিনি পুনরায় সেন্ট্রাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রিবিউনালের নিয়মের মধ্যে দিয়ে যান। তখন নিজের শারীরিক কর্মদক্ষতা আরো একবার প্রমাণ করতে সক্ষম হন ইরা। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার প্রস্তুতি নেয়ার ফাঁকে তিনি স্প্যানিশ এবং ইংরেজি ভাষার শিক্ষকতাও করেছেন তিনি।

সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলে প্রথম পাঁচজনের মধ্যে চারজনই নারী। ইরা সিঙ্ঘলের পর দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ হয়েছেন যথাক্রমে রেণু রাজ, নিধি গুপ্ত ও বন্দনা রাও। চূড়ান্ত পরীক্ষায় সফল হয়েছেন এক হাজার ২৩৬ জন। সফল পরীক্ষার্থীদের টুইটারে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

এসআইএস/বিএ/আরআইপি