ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

কুমারী নারীকে ‘মুখ আটকানো বোতলের’ সঙ্গে তুলনা, বিতর্কে অধ্যাপক

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:০৮ পিএম, ১৫ জানুয়ারি ২০১৯

নারীর কুমারীত্ব নিয়ে আমাদের সমাজে নানা ধরনের কুসংস্কার প্রচলিত আছে। আমাদের এই সমাজ ব্যবস্থা একজন নারীকে কুমারী হিসেবে দেখতে চায়। কেননা পুরুষতান্ত্রিক এ সমাজে নারীরা বরাবরই শোষিত। কিন্তু নারীর কুমারীত্ব নিয়ে যখন একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক প্রশ্ন তোলেন তখন সেটা একটা অন্যরকম অর্থ দাড় করায়।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবার নারীর কুমারীত্ব নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলে বিতর্কের মুখে পড়েছেন। তার ভাষ্যমতে, একজ কুমারী নারী হল মুখ আটকানো বোতলের মতো। তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেয়া এক পোস্টে বলেছেন একজন কুমারী নারী হল মুখ আটকানো কোনো বোতল কিংবা এক প্যাকেট বিস্কুটের মতো।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কণক সরকার নামের ওই অধ্যাপক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে পড়ান। তিনি আরও বলেছেন একজন কুমারী নারী তার স্বামীর কাছে পরীর মতো। তিনি দাবি করেন, এসব মন্তব্য তিনি করেছেন মানুষের নীতি ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে।

তিনি ফেসবুকে যে পোস্টটি করেছেন তার শিরোনাম ছিল কুমারী বধূ- কেন নয়? তার ভাষ্য হল কোনো মানুষ যখন একটি বোতল কেনেন তখন তিনি তো মুখ খোলা কোনো বোতল কিনবেন না। অথবা কেউ যখন বিস্কুট কেনে তখন তিনি তো চান যে তার বিস্কুটের প্যাকেট যাতে কোনোভাবে খোলা না থাকে।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

তার ওই ফেসবুক পোস্টটি যদি হুবহু তুলে ধরা হয় তাহলে সেখানে লেখা, ‘একজন নারী জন্মের পর থেকেই মুখ বন্ধ অবস্থায় থাকে, যতক্ষণ না পর্যন্ত কেউ তার মুখ খোলে। একজন কুমারী নারী মানে হলো, যার মধ্যে মূল্যবোধ, সংস্কৃতি ও শারীরিক ‘পবিত্রতা’ সমন্তিব রুপ। আর যে কোনো পুরুষের জন্য একজন কুমারী স্ত্রী পরীর মতো। ছেলেরা বোকা। তারা স্ত্রী হিসেবে একজন কুমারী নারীকে কেন চায় না এটাই আমি বুঝি না।’

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই অধ্যাপকের ফেসবুক পোস্ট নিয়ে অনেকেই সমোলোচনা করছেন। খোদ তার বিভাগেই তার এমন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে দাবি তোলা হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুরঞ্জণ দাস বলেছেন, ‘আমরা আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’

বিজ্ঞাপন

এসএ/পিআর

আরও পড়ুন

বিজ্ঞাপন