বাড়িতে ভূত! পরিবারকে একঘরে করল এলাকার মানুষ
প্রতীকী ছবি।
বাড়িতে ভূত পোষার অভিযোগে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ জেলায় এক পরিবারকে একঘরে করে রেখেছে এলাকাবাসী। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে ওল্ড মালদহ ব্লকে। এলাকার মানুষের এহেন অনৈতিক ও কুসংস্কারাচ্ছন্ন কর্মকাণ্ডের ফলে হয়রানির মুখে পড়েছে পরিবারটি।
কলকাতার একটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়, ওই বাড়িতে দুই মেয়ে এবং শাশুড়িকে নিয়ে থাকেন এক নারী। তার স্বামী পরিযায়ী শ্রমিক। এই পরিবারের সদস্যরা পূজা-অর্চনা নিয়ে একটু বেশিই মেতে থাকেন।
কিন্তু তার জন্য এলাকাবাসীর এমন সিদ্ধান্ত কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে নানা মহলে। এমনকী ওই নারী ও এলাকাবাসী নিজেদের তরফে ওঝাও নিয়োগ করেন। নিজেদের পারলৌকিক সওয়ালের সমর্থনে খাড়া করায় নিজেদের পক্ষের ওঝা।
সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে এ নিয়ে আলোচনাও হয়। কিন্তু সমাধান হয়নি কিছুই। বরং আলোচনা হাতাহাতির পর্যায়ে চলে যায়। সে ক্ষেত্রে এখনও ওই পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ায়নি এলাকার কেউ। যা থেকে পরিষ্কার গ্রামের মানুষের অন্ধবিশ্বাস এখনও বহু জায়গায় অটল রয়েছে।
এর আগে রাজ্যের নদীয়া জেলাতেও এমন ঘটনা ঘটে। ভূত পোষা হয়েছে বাড়িতে- এমন অভিযোগের জেরে জেলার শান্তিপুরের ছোট জিয়াকুর গ্রামের আদিবাসী মহল্লায় ঢুকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে একটি পরিবারের বিরুদ্ধে। লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করা ডংক্ষীরা গ্রামের লোকেদের আটকাতে গিয়ে আহত হন ১৪ জন।
এলাকার এক বাড়িতে ভূত রাখা আছে বলে সন্দেহে ডংক্ষীরার গ্রামের কয়েকজন বাড়িটিতে আক্রমণ করে। ওই গ্রামের এক কিশোরীকে ভূতে ধরেছিল এক মাস আগে, অভিযোগ করেছিলেন গ্রামবাসীরা। সেই ভূত ঠাঁই নিয়েছে এক নারীর ঘরে। তারপরই হামলা চালানো হয় পরিবারটির ওপর।
বিএ