নিউজিল্যান্ডে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভ
নিউজিল্যান্ডের অকল্যান্ড শহরে লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে জড়ো হয়েছে হাজার হাজার মানুষ। তারা সরকারের জারি করা বিভিন্ন বিধি-নিষেধের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করে বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে।
গত মাসে অকল্যান্ডে নতুন করে সামাজিক দূরত্ব জারি করে সরকার। হঠাৎ করেই ওই শহরে করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় প্রশাসন নতুন করে আবারও কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করতে বাধ্য হয়।
স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে দেখা গেছে, হাজার হাজার মানুষ লকডাউন-বিরোধী বিক্ষোভে অংশ নিয়েছে। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া অনেকেই মাস্ক পরা ছিলেন না।
বিক্ষোভের আয়োজন করা একটি সংস্থার প্রধান বলছেন, ‘আমরা সবাই আজ এখানে জড়ো হয়েছি কারণ আমরা বিশ্বাস করি যে, নিজেদের অধিকারের জন্য আমাদের সোচ্চার হতে হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশে প্রথম করোনার উপস্থিতি ধরা পড়ে। এরপরেই কঠোর বিধি-নিষেধ আরোপ করে নিউজিল্যান্ড। ফলে সেখানে সংক্রমণ অনেক ধীর গতিতে ছড়িয়েছে। দেশটিতে সংক্রমণ এবং মৃত্যুহারও অন্যান্য দেশের তুলনায় অনেক কম।
করোনা মহামারি নিয়ন্ত্রণে প্রথম থেকেই সব দেশের কাছে আদর্শ হয়ে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। প্রায় একশ দুই দিন দেশটিতে নতুন করে কোনো সংক্রমণ ধরা পড়েনি। কিন্তু এরপরেই দেশটিতে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে।
গত কয়েক সপ্তাহে বৃহত্তম অকল্যান্ড শহর করোনার নতুন হটস্পটে পরিণত হয়েছে। সেখানে সংক্রমণ দ্রুত গতিতে বাড়তে শুরু করেছে।
কিন্তু সেখানে প্রশাসনের কড়াকড়ি আরোপের বিরোধিতা করছে শহরের লোকজন।
ওয়ার্ল্ডোমিটারের পরিসংখ্যান বলছে, নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ১ হাজার ৭৯৫। এর মধ্যে মারা গেছে ২৪ জন। এছাড়া ইতোমধ্যেই সুস্থ হয়ে উঠেছে ১ হাজার ৬৬৩ জন। দেশটিতে বর্তমানে করোনার অ্যাক্টিভ কেস ১০৮টি।
টিটিএন/জেআইএম
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ ইসরায়েলের নিয়মিত যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন গাজা শান্তিচুক্তিকে অনিশ্চয়তায় ঠেলে দিচ্ছে: কাতার
- ২ মিয়ানমারে নির্বাচনের আগে শত শত মামলা, বিরোধীদের চাপে রাখার চেষ্টায় জান্তা
- ৩ গত ৭ মাসে যুক্তরাষ্ট্রে কোনো অবৈধ অভিবাসী প্রবেশাধিকার পায়নি
- ৪ ভেনেজুয়েলার তেল যুক্তরাষ্ট্রের সম্পদ: ট্রাম্পের সহকারী
- ৫ বিশ্ববাজারে আরও কমবে চালের দাম, ঝুঁকিপূর্ণ খাদ্যে কঠোর ব্যবস্থা