ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আন্তর্জাতিক

করোনা নিয়ন্ত্রণে সেনা সহায়তা চায় সিডনি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক | প্রকাশিত: ০৮:১৭ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২১

অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বড় শহর সিডনিতে বৃহস্পতিবার রেকর্ড সংখ্যক করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ায় এবং মহামারি পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে এমন আশঙ্কায় লকডাউন জোরালো করার জন্য সেনা সহায়তা চেয়েছে নিউ সাউথ ওয়েলস কর্তৃপক্ষ। রাজ্যটির রাজধানী সিডনিতে লকডাউন বৃদ্ধি সত্ত্বেও সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় ২৩৯ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে, যা মাহামারি শুরুর পর একদিনে সর্বোচ্চ। একারণে চলমান লকডাউন সম্পূর্ণভাবে কার্যকর করতে নিউ সাউথ ওয়েলসের পুলিশ শুক্রবার থেকে ৩০০ সেনা সদস্য চেয়েছে।

রাজ্যের পুলিশ কমিশনার মিক ফুলার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সামনের সপ্তাহে আইন প্রয়োগ ব্যবস্থা জোরদার করতে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্য চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

সেনা মোতায়েন হলে তাদের দায়িত্ব কী হবে তা এখনো পরিষ্কার নয়। তবে প্রতিবেশী ভিক্টোরিয়া রাজ্যে করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে এবং মানুষকে বিধিনিষেধ মানাতে একই সংখ্যক সেনা সদস্য ব্যবহার করা হয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসনের প্রতিনিধি এবং প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিটার ডটন এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান, গ্ল্যাডিস বেরেজিক্লিয়ান বলেন, কমিউনিটি পর্যায়ে মানুষ আক্রান্ত হওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে। তিনি বলেন, করোনায় রাজ্যটিতে নতুন একজনসহ মোট ১৩ জন মারা গেছে। এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে অস্ট্রেলিয়ায় ৯২১ জনের মৃত্যু হয়েছে।

jagonews24

বিজ্ঞাপন

বেরেজিক্লিয়ান বলেন, চলমান বিধিনিষেধের ফলে আক্রান্তের হার কিছুটা কমেছে। অধিকাংশ করোনা রোগী সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম এবং পশ্চিমাংশে শনাক্ত হওয়ায় সেখানে বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে। সিডনির নির্দিষ্ট আটটি হটস্পটে মানুষকে অবশ্যই ঘরের বাইরে মাস্ক পরতে হবে এবং বাড়ির পাঁচ কিলোমিটারের মধ্যে থাকতে হবে।

নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রধান বেরেজিক্লিয়ান মঙ্গলবার সিডনিতে আরও একমাসের লকডাউন দিয়েছেন। শহরটিতে বারবার লকডাউনের ফলে সেখানকার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ফেডারেল ট্রেজারার জোশ ফ্রাইডেনবার্গ বলেন, সিডনিতে কমসংখ্যক লোক ভ্যাকসিন নেয়ার কারণে লকডাউন অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে দেশটিতে ফাইজারের ভ্যাকসিন সরবরাহ অনেক কম। নিউ সাউথ ওয়েলসে ১৬ বছরের ওপর মাত্র ১৭ শতাংশ লোক ভ্যাকসিন নিয়েছে।

বিজ্ঞাপন

সম্প্রতি সমগ্র সিডনিতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট মারাত্মক আকার ধারণ করায় তা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে অস্ট্রেলীয় কর্তৃপক্ষ। এতে হুমকির মুখে পড়েছে প্রায় দেড় মিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি।

এমএসএম/কেএএ/জেআইএম

বিজ্ঞাপন