মস্কোয় হামলাকারীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগাযোগ ছিল: রাশিয়া
বন্দুক হামলার পর মস্কোর ক্রোকাস সিটি হল থেকে উদ্ধার করা বিভিন্ন জিনিস পর্যবেক্ষণ করেন তদন্ত কমিটির সদস্যরা/ ছবি: ইপিএ
মস্কোর ক্রোকাস সিটি হলের ওই কনসার্টে বন্দুক হামলা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের সঙ্গে ইউক্রেনের যোগাযোগ ছিল এবং হামলার পর বন্দুকধারীরা ইউক্রেনেই পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন বলে দাবি করেছে ক্রেমলিন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থাগুলো জানিয়েছে, হামলা চালানোর পর অপরাধীরা রাশিয়া-ইউক্রেন সীমান্ত অতিক্রম করতে চেয়েছিলেন ও ইউক্রেনের সঙ্গে তাদের ভালো যোগাযোগ ছিল। এই তথ্য দেওয়ার আগে হামলায় জড়িত ১১ সন্দেহভাজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানায় রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)। আটককৃতদের মধ্যে ৪ জন হামলায় সরাসরি জড়িত বলে দাবি এফএসবির।
আরও পড়ুন:
- আইএস-খোরাসান কারা, তারা রাশিয়ায় কেন হামলা চালালো?
- মস্কোর কনসার্ট হলে গুলি ও বিস্ফোরণ, বহু হতাহতের শঙ্কা
- মস্কোর হামলায় আইএসের দায় স্বীকার
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অন্তত পাঁচ বন্দুকধারী ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালান। পরে তারা একটি ‘দাহ্য তরল’ ব্যবহার শপিং মলের কনসার্ট হলে আগুন লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৯৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।
ক্রোকাস সিটি হলের ভেতরেই কাজ করছে তদন্ত কমিটির প্রেস সার্ভিস/ ছবি: ইপিএ
তাছাড়া, এ হামলায় আহত হয়েছেন অন্তত দেড় শতাধিক। তাদের মধ্যে অনেকের অবস্থা গুরুতর বলে নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট রুশ কর্তৃপক্ষ।
এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করে নিয়েছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টেলিগ্রামে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে গোষ্ঠীটি বলেছে, মস্কোতে তাদের যোদ্ধারা হামলা চালিয়ে শতাধিক মানুষকে হতাহত করেছেন ও ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে নিরাপদে তাদের ঘাঁটিতে ফিরে যেতে পেরেছেন।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র বলছে, তারা সেখানকার পরিস্থিতি সম্পর্কে আরও তথ্য জানতে কাজ করছে। আর এ হামলায় কোনো ধরনের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেছে ইউক্রেন।
আরও পড়ুন:
- মস্কোর কনসার্টে হামলায় নিহত বেড়ে ৯৩
- মস্কোর হামলায় ‘সরাসরি জড়িত’ ৪ জনসহ আটক ১১
- ১৯৯৯ সালের পর থেকে মস্কোয় যত ভয়াবহ হামলা
যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র অ্যাড্রিয়েন ওয়াটসন বলেন, মার্চের শুরুতেই মস্কোতে ‘বড় সমাবেশ’ লক্ষ্য করে হামলা চালানো হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছিল রুশ কর্তৃপক্ষকে। ওয়াটসন। তবে ক্রেমলিন এই সতর্কতাকে ‘প্রোপাগান্ডা’ উল্লেখ করে প্রত্যাখ্যান করে।
বলা হচ্ছে, প্রায় ২০ বছরের মধ্যে এটাই রাশিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ হামলার ঘটনা। এর আগে এর আগে ২০১৭ সালে সেন্ট পিটার্সবার্গ মেট্রোতে একটি বোমা হামলার ঘটনায় ১৫ জন নিহত হয়েছিলেন।
সূত্র: তাস
এসএএইচ
সর্বশেষ - আন্তর্জাতিক
- ১ যুদ্ধবিরতির মধ্যেই ইসরায়েলে ৩৪ বিলিয়ন ডলারের সামরিক বাজেট ঘোষণা
- ২ ভারত-রাশিয়ার বন্ধুত্ব ‘সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ’: মোদী
- ৩ রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে রুশ বিজ্ঞানীর ২১ বছর কারাদণ্ড
- ৪ পর্যটন মৌসুমে ভয়াবহ বন্যা, চ্যালেঞ্জের মুখে শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি
- ৫ রাশিয়ায় বিদেশি অ্যাপ ব্যবহারে কড়াকড়ি, বন্ধ স্ন্যাপচ্যাট ও ফেসটাইম