ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

চিফ প্রসিকিউটর

আলেপের বিরুদ্ধে গুম ব্যক্তির স্ত্রীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৯:১৯ এএম, ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

এক ব্যক্তিকে গুম করে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠা র‌্যাবের সাবেক কর্মকর্তা ও বরখাস্ত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আলেপ উদ্দিনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা।

বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। র‌্যাবের সাবেক কোম্পানি কমান্ডার আলেপের বিরুদ্ধে গুমের অভিযোগে মামলা রয়েছে।

ট্রাইব্যুনালে শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপের বিরুদ্ধে অসংখ্য মানুষকে গুম করে ইলেকট্রিক শক দেওয়া, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানোসহ নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতনের অভিযোগ রয়েছে। ২০১৮ সালে তিনি (আলেপ) একজনকে গুম করে তার বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া স্ত্রীকে ভয় দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। ভুক্তভোগী ওই নারী মানসিক ট্রমায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

আরও পড়ুন

শুনানিতে তিনি আরও বলেন, বিগত সরকারের সময় সবচেয়ে বেশি গুম ও নির্যাতনের অভিযোগ যাদের বিরুদ্ধে তাদের মধ্যে আলেপ একজন। গুম ও ধর্ষণের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাবাসাদ করা প্রয়োজন।

শুনানি নিয়ে আদালত আলেপকে ২৬ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন। এসময় তার বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন দিতে তিন মাস সময় চাইলে তা-ও মঞ্জুর করেন আদালত। একই সঙ্গে ২৮ মে পরবর্তী দিন ধার্য করা হয়।

তাজুল ইসলাম বলেন, আলেপ উদ্দিন মানুষকে গুম করে বছরের পর বছর আটকে রেখেছিল, তাদের নিষ্ঠুরভাবে নির্যাতন করেছিল। বিদ্যুতায়িত করা, চোখ বেঁধে রাখা, উল্টো করে ঝুলিয়ে পেটানো—সবই তিনি করেছেন। সবচেয়ে মারাত্মক যেটি করেছিলেন একজন আসামিকে গুম করে হত্যার ভয় দেখিয়ে তার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েপড়ুয়া স্ত্রীকে রোজা ভাঙিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। এসব তথ্যপ্রমাণ আমাদের কাছে এসেছে।

এফএইচ/এমকেআর/এমএস