ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যায় একজনের দায় স্বীকার, রিমান্ডে ৩

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যা মামলায় আসামি মো. রিপন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। গ্রেফতার অন্য তিন আসামি সোহাগ, হৃদয় ইসলাম ও রবিনের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এছাড়া আসামি সুজন সরকারকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (২৬ মে) আসামিদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এসময় রিপন দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান আসামির জবানবন্দি রেকর্ড করেন। জবানবন্দি রেকর্ড শেষে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।
আরও পড়ুন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
- ভিসি-প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে ফের অবস্থান ঢাবি ছাত্রদলের
- সাম্য হত্যার পর নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর ঢাবি
- সাম্য হত্যার ঘটনা তদন্তে গঠিত কমিটির প্রতিবেদন জমা
মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সোহাগ, হৃদয় ও রবিনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান তাদের দুদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া আসামি সুজন সরকারকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
গত ১৩ মে রাত সাড়ে ১১টার দিকে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের ভেতর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে যাওয়ার সময় ছুরিকাঘাতে আহত হন সাম্য। রাত ১২টার দিকে রক্তাক্ত অবস্থায় বন্ধুরা তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বিজ্ঞাপন
শাহরিয়ার আলম সাম্য ঢাবির শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। এফ রহমান হলের আবাসিক এই ছাত্রের বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়। রাজনীতিতে যুক্ত সাম্য এফ রহমান হল ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক ছিলেন।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরদিন ১৪ মে সাম্যের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এমআইএন/এমকেআর
বিজ্ঞাপন