ইশরাকের শপথ
রিট খারিজের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে আপিল শুনানি বুধবার
ফাইল ছবি
ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা হয়েছিল আপিল। সে আবেদন শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত ও পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে পাঠিয়েছেন চেম্বার আদালত।
এ বিষয়ে বুধবার (২৮মে) আপিল বিভাগে শুনানি হবে বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন আপিল বিভাগে আবেদনকারী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন।
এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে মঙ্গলবার (২৭ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত এ আদেশ দেন। আদালতে আজ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে ইশরাকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র অ্যাডভোকেট ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
এর আগে ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ঘোষণা করে গেজেট প্রকাশ করেছিল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে করা রিট সরাসরি খারিজ কারে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করা হয়। হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে করা আবেদনে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চাওয়া হয়।
সোমবার (২৬ মে) সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আবেদন করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন। আপিল বিভাগে আবেদনের বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন আইনজীবী মোহাম্মদ হোসেন নিজে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ রিটটি সরাসরি খারিজ করে পর্যবেক্ষণসহ এ আদেশ দেন।
এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র ঘোষণা ও গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে আজ (সোমবার) লিভ টু আপিল করেন রিট আবেদনকারী।
ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের রায় ও ইসির গেজেটের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. মামুনুর রশিদ ১৩ মে রিটটি করেন।
২০২০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন হয়। আওয়ামী লীগের (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস মেয়র নির্বাচিত হন। একই বছরের ২ ফেব্রুয়ারি ভোটের ফলের গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। শপথ নিয়ে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন তাপস।
নির্বাচনে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ফলাফল বাতিল চেয়ে ২০২০ সালের ৩ মার্চ মামলা করেন ইশরাক। তিনি বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য।
গত বছরের ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। একই বছরের ১৯ আগস্ট ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনসহ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। ইশরাকের করা মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ রায় দেন ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনাল। রায়ে তাপসকে নির্বাচিত হিসেবে দেওয়া ঘোষণা বাতিল করা হয় এবং ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করা হয়।
আদালতের রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে ইশরাককে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ঘোষণা করে গত ২৭ এপ্রিল গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। মেয়র হিসেবে ইশরাকের শপথের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশন থেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়। চিঠির পরেও কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় ইশরাকের সমর্থকরা বিক্ষোভ শুরু করেন।
এফএইচ/এমএইচআর/এএসএম
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ হাদির মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো: প্রধান বিচারপতি
- ২ নিউমুরিং টার্মিনাল নিয়ে রিট নিষ্পত্তিতে হাইকোর্টের বেঞ্চ নির্ধারণ
- ৩ নির্দোষ দাবি করে ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার চাইলেন ৩ সেনা কর্মকর্তা
- ৪ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ১ ও ২ এপ্রিল
- ৫ বিচার বিভাগের স্থিরতা হতে পারে জাতির নির্ভরযোগ্য স্থিতিশীলতার উৎস