ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

প্রতারণার অভিযোগে পান্ডামার্টের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৪:৩০ পিএম, ০৩ জুলাই ২০২৫

ডকুমেন্ট জালিয়াতি, টাকা আত্মসাৎ, পাওনা টাকা চাইলে সাপ্লায়ারকে হুমকি ও চুক্তিভঙ্গের অভিযোগে ফুডপান্ডার সহযোগী প্রতিষ্ঠান পান্ডামার্টের বিরুদ্ধে চারটি মামলা করেছেন এক ব্যবসায়ী।

বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহর আদালতে এ মামলার আবেদন করেন ফার্স্ট টেলি সেলস কোম্পানির স্বত্বাধিকারী শিহাব মাহমুদ বশির। আদালত মামলার নথি পর্যালোচনা সাপেক্ষে পরে আদেশ দেবে বলে জানিয়েছেন।

মামলায় অভিযুক্তরা হলেন, পান্ডামার্টের কো-ফাউন্ডার ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দা আমবারীন রেজা, জুবায়ের সিদ্দিকী, পরিচালক মো. তাবরেজ খান (ভারতীয় নাগরিক), সিনিয়র ম্যানেজার মো. সাজেদুল হক, হেড অব ক্যাটাগরি দিলারা ফারুক ও এক্সিকিউটিভ ক্যাটাগরি ম্যানেজমেন্ট ডাইরেক্টর মো. তৌকির।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলার বাদী শিহাব মাহমুদ বলেন, পান্ডামার্টের সঙ্গে আমার ব্যবসায়িক সম্পর্ক। কিন্তু তারা ব্যবসার চুক্তি ভঙ্গ করেছে। পাওনা টাকা চাইলে সাপ্লায়ারকে হুমকি দেয়, ডকুমেন্টস জালিয়াতি করেছেন। এসব অভিযোগে চারটি মামলার আবেদন করেছি। এতে মোট ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়েছে।

আইনজীবী কাজী মফিজুল ইসলাম বলেন, মামলায় ৫ কোটি ৬০ লাখ টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। দুই নম্বর সিএমএম আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয়েছে। বিচারক পরে আদেশ দেবেন বলেছেন।

অভিযোগগুলো মিথ্যা, দাবি ফুডপান্ডার

ফুডপান্ডা বাংলাদেশ ও প্রতিষ্ঠানটির ছয় কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইপিএলই ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের মালিক শিহাব মাহমুদ বশিরের দায়ের করা মামলাগুলোয় যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট বলে দাবি করেছে ফুডপান্ডা বাংলাদেশ।

প্রতিষ্ঠানটির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ফুডপান্ডা ও এর কর্মীদের সুনাম ও ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার উদ্দেশ্যে এ অপচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে। এর আগে ফুডপান্ডা ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে শিহাব মাহমুদ বশিরের বিরুদ্ধে নেগোশিয়েবল ইনস্ট্রুমেন্টস অ্যাক্ট, ১৮৮১ -এর ১৩৮ ধারায় তিনটি মামলা দায়ের করে। শিহাব মাহমুদ বশিরের দেয়া চেক প্রত্যাখ্যাত হওয়ায় এ মামলা করে ফুডপান্ডা।

এই আইনগত পদক্ষেপের বিপরীতে, শিহাব মাহমুদ বশির সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ এনে পাল্টা মামলা করেছেন। আমরা মনে করি, আর্থিক দায় এড়ানোর উদ্দেশ্যে এবং আইনি বাধ্যবাধকতা থেকে নিজেকে আড়াল করতে পরিকল্পিত উপায়ে তিনি ফুডপান্ডা ও এর কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেছেন বলে ফুডপান্ডা জানিয়েছে।

ফুডপান্ডার ভাষ্যমতে, আমরা আরও জানতে পেরেছি যে, প্রকৃত সত্য আড়াল করতে শিহাব মাহমুদ বশির মিডিয়ার কাছে ফুডপান্ডা নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য সরবরাহ করছেন। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে নিষ্ঠা ও সুনামের সঙ্গে বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনা করে ফুডপান্ডা। অথচ শিহাব মাহমুদ বশির উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা করে ফুডপান্ডার মতো আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করা প্রতিষ্ঠানের সুনামহানি করছেন।

এমআইএন/এমআরএম/এমএমএআর/জিকেএস