ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বারকাতের জামিন মেলেনি

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০২:১৬ পিএম, ২৩ জুলাই ২০২৫

২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের করা মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আবুল বারকাতের জামিন নামঞ্জুর করেছেন আদালত।

‎বুধবার (২৩ জুলাই) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে এ মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর আদেশ দেন।

‎এদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে আবুল বারকাতকে আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় তাকে মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর বেলা ১১টা ৭ মিনিটে আদালতে তোলা হয় তাকে। আদালতে কাঠগড়ায় একটি বেঞ্চে বসেন তিনি। কাঠগড়ায় তাকে বেশ চিন্তিত দেখা যায়।

‎তার পক্ষে জামিন চেয়ে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মো. শাহিনুর ইসলাম। তিনি বলেন, ২০১৩ সালের ঋণ আবেদন করে অ্যাননটেক্স গ্রুপের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান সুপ্রভা স্পিনিং মিলস। পরে তাদের আবেদনটি যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ করে ব্যাংকের বোর্ড সভায় উপস্থাপন করা হয়। এরপর বাংলাদেশ ব্যাংকের গাইড লাইন মেনে সুপ্রভা স্পিনিং মিলসকে ঋণ মঞ্জুর করা হয়। এখানে ড. আবুল বারকাত দায়িত্বের অবহেলা করেননি। তিনি কোনো নীতিমালাও ভঙ্গ করেননি।

‎তিনি আরও বলেন, এর আগে একই বিষয়ে দুদক অনুসন্ধান করে কোনো দুর্নীতি হয়নি মর্মে ক্লিয়ারেন্স দেয়। এখন একই বিষয়ে নতুন করে মামলা করার বিষয়টি দ্বিচারিতা ছাড়া কিছুই না। তাই দুদক আবুল বারকাতের বিরুদ্ধে যেসব এলিগেশন এনেছে, তার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সার্বিক দিক বিবেচনায় আমরা তার (আবুল বারকাত) জামিন চাইছি।

‎জামিনের বিরোধিতা করে দুদকের প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, জনতা ব্যাংকের চেয়ারম্যানের দায়িত্বে থাকা অবস্থায় উনার কর্মচারীরা কোনো অপরাধ বা অনিয়ম করলে তার দায়িত্ব তাকেই (বারকাত) নিতে হবে। এ ক্ষেত্রে অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। তাই এ মামলায় তাকে জামিন দেওয়ার ঘোর বিরোধিতা করছে রাষ্ট্রপক্ষ।

‎উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আবুল বারকাতের জামিন নামঞ্জুর করা হয়। একই সঙ্গে এ মামলায় তার তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়া আবেদনের শুনানির জন্য মামলাটি সিএমএম আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। পরে তাকে আদালতের কাঠগড়া থেকে হাজতখানায় নেওয়া হয়।

‎অ্যাননটেক্স গ্রুপের নামে ২৯৭ কোটি ৩৮ লাখ ৮৭ হাজার ২৯৬ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে গত ২০ ফেব্রুয়ারিতে আবুল বারকাতসহ ২৩ জনের নামে মামলা করে দুদক। এতে অভিযোগ করা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান ও আবুল বারকাত পরস্পর যোগসাজশে জালজালিয়াতির মাধ্যমে অ্যাননটেক্স গ্রুপের ২২টি প্রতিষ্ঠানকে এই টাকা ঋণ দিয়েছিলেন। আতিউর রহমান, তার সহযোগী অন্য ব্যক্তিরা বিভিন্ন অনৈতিক কৌশলে এই অর্থ আত্মসাৎ করেন বলে অভিযোগ করা হয়।

‎গত ১০ জুলাই রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির নিজ বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ। পরদিন ১১ জুলাই এ মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

‎এমআইএন/জেএইচ/এএসএম