জাপানি দুই শিশুর বাবা-মায়ের আপিল শুনানি ১২ আগস্ট
ফাইল ছবি
জাপানি নাগরিক এরিকো নাকানো ও বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক ইমরান শরীফ দম্পতির সন্তান জেসমিন মালিকা ও লাইলা লিনার বিষয়ে করা পৃথক দুটি আপিল শুনানির জন্য আগামী ১২ আগস্ট দিন ঠিক করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (২৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন সাত সদস্যের আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে নাকানো এরিকোর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর ইমরান শরীফের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রাশনা ইমাম।
এদিন আইনজীবী শিশির মনির বলেন, হাইকোর্ট বিভাগ যে রায় দিয়েছেন তা ভুল। সেটি সংশোধন করা হোক। সেই সঙ্গে অপহরণ করে জাপান থেকে দুই শিশুকে নিয়ে আসেন তাদের বাবা, যেটি আইনসঙ্গত ছিল না।
অন্যদিকে দুই শিশুর বাবা ইমরান শরীফের আইনজীবী রাশনা ইমাম বলেন, জাপানের আইন এমন জটিল যে, সেখানে বাবা কোনো সুবিধা পায় না। শুধু তাই নয়, জাপানি আইন বিদেশি নাগরিকদের জন্য কঠিন।
জাপানি দুই শিশুর মধ্যে বড় মেয়ে জেসমিন মালিকা মায়ের কাছে থাকবে বলে গত বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি রায় দেন হাইকোর্ট। আর মেজ মেয়ে লাইলা লিনা বাবা ইমরান শরীফের কাছে থাকবে বলে রায়ে বলা হয়। তবে বাবা-মা দুজনই সন্তানদের সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ পাবেন বলে রায়ে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে দুই মেয়েকেই নিজের কাছে পেতে হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে পৃথক আপিল করেন নাকানো এরিকো ও ইমরান শরীফ। তবে আপিল বিভাগে মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় বড় মেয়ে জেসমিন মালিকাকে নিয়ে বাংলাদেশ ছাড়েন জাপানি মা নাকানো এরিকো। এতে আদালত অবমাননার মামলা করেন বাবা ইমরান শরীফ। পরে অবশ্য মামলা লড়তে বাংলাদেশে আসেন নাকানো এরিকো। এখন তাদের বড় মেয়ে জাপানে ও মেজ মেয়ে বাংলাদেশে রয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে এরিকো নাকানো ও ইমরান শরীফ পৃথক লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করেন। বড় মেয়েকে নিয়ে মা এরিকোর বাংলাদেশ ছেড়ে জাপানে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে আদালত অবমাননার অভিযোগে বাবা ইমরান একটি আবেদন করেন। আইনজীবীর তথ্যমতে, ২০২৩ সালের ৯ এপ্রিল বড় মেয়েকে নিয়ে জাপানের উদ্দেশে বাংলাদেশ ছাড়েন এরিকো। তিনি ১০ জুলাই বাংলাদেশে আসেন।
এফএইচ/বিএ/এমএস