খায়রুল হকের ফাঁসির দাবিতে বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের বিক্ষোভ

সাবেক বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের ফাঁসি চেয়ে ব্যাপক আদালত চত্বরে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্যাহর আদালত সাবেক বিচারপতিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। এরপরই এজলাস থেকে বের হয়ে বিএনপিপন্থি আইনজীবীরা এসব স্লোগান দিতে থাকেন।
এসময় কিছু আইনজীবী বলেন, এই খায়রুল হক ছিলেন স্বৈরাচার হাসিনার কারিগর। তার একমাত্র শাস্তি ফাঁসি।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
এর আগে সন্ধ্যা ৭টা ৪৫ মিনিটের দিকে তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও যাত্রাবাড়ী থানার পুলিশ পরিদর্শক খালেদ হাসান। এরপর ৮টা ১৫ মিনিটের দিকে পুলিশের কঠোর নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যে দিয়ে খায়রুল হককে আদালতের এজলাসে ওঠানো হয়।
আটক রাখার আবেদনে বলা হয়, আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে মামলার বাদি মো. আলাউদ্দিনের ছেলে আব্দুল কাইয়ুমের মুখে ও বুকে গুলি লাগলে সে পুলিশ বক্সের সামনে লুটিয়ে পড়ে এবং তার আশেপাশে থাকা আরও কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। আসামি এবিএম খায়রুল হক প্রধান বিচারপতি থাকাকালে ২০১১ সালের ১ মে হতে বিভিন্ন সময়ে অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ করে দুর্নীতিমূলকভাবে প্রতারণার উদ্দেশ্যে জাল-জালিয়াতিপূর্বক প্রকৃত রায় হিসেবে ব্যবহারের মাধ্যমে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অপরাধ করেছেন। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলাসহ বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে মামলা আছে। আসামি একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। তাকে জামিনে মুক্তি দিলে প্রভাব বিস্তার করে মামলার তদন্তকার্যে ব্যাঘাত ঘটানোর আশঙ্কা আছে বিধায় তাকে বিচারের পূর্ব পর্যন্ত জেল হাজতে আটক রাখা আবশ্যক।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসরে যান। আপিল বিভাগে থাকাকালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় দেন খায়রুল হক। হাইকোর্ট বিভাগে থাকাকালে শেখ মুজিবুর রহমান হত্যা মামলার রায় ও সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী মামলার রায় দিয়েছিলেন খায়রুল হক।
২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনঃনিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।
বিজ্ঞাপন
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।
এমআইএন/কেএএ/
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ স্বাচিপ চিকিৎসকরা বলেছিলেন ‘এরা সন্ত্রাসী, চিকিৎসা দেওয়া যাবে না’
- ২ অভিনেত্রী হিমুর আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় রাফির বিচার শুরু
- ৩ কর একাডেমি থেকে কর আইনজীবী সনদ ইস্যু চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
- ৪ বিচারপতি খুরশীদ আলম সরকারকে ডেকেছেন সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল
- ৫ তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে রিভিউ আবেদনের শুনানি বুধবার