ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

সাবেক সচিব মিহির কান্তিসহ ১৩ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:৫৫ পিএম, ২৯ জুলাই ২০২৫

উদ্দীপনের ক্ষুদ্র ঋণবিধি লঙ্ঘন করে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সচিব ও এনজিও উদ্দীপনের চেয়ারম্যান মিহির কান্তি দাসসহ ১৩ জনের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এন আইডি) ব্লকের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পৃথক দুই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন। দুদকের পক্ষে সহকারী পরিচালক শোয়াইব ইবনে আলম দুটি ব্লক ও নিষেধাজ্ঞার আবেদন করেন।

নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত বাকিরা হলেন, উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ ড. মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতান, ভবতোষ নাথ, ড. আবু জামিল ফয়সাল, শওকত হোসেন, রেজা সেলিম মো. তৈয়বুল হক, রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক (সিইও) এবং মেম্বার সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসু।

আবেদনে বলা হয়, উদ্দীপনের পরিচালনা পর্ষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিহির কান্তি মজুমদার, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জাকিয়া কে হাসান, সাবেক কোষাধ্যক্ষ মো. গোলাম আহাদ, সাবেক সদস্য মো. মাহবুবুর রহমান, মো. নজরুল ইসলাম খান, নাহিদ সুলতানা, ভবতোষ নাথ, রেজা সেলিম মো. তৈয়বুল হক রেহানা বেগম, ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক ও সিইও এবং মেম্বার সেক্রেটারি মো. মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার বসুরা পরস্পর যোগসাজশে প্রতারণা ও অপরাধজনক বিশ্বাস ভঙ্গের মাধ্যমে জাল-জালিয়াতির আশ্রয়ে নিয়ে অলাভজনক করে এমআরএ আইন ও বিধিলঙ্ঘন করে উদ্দীপনের ক্ষুদ্রঋণ তহবিল থেকে বিনিয়োগ বা খরচ হিসেবে অর্থ প্রদান করে দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ জালিয়াতি সম্পৃক্ত দুটি মামলা দুর্নীতি দমন কমিশনে তদন্তাধীন রয়েছে।

বিশ্বস্তসূত্রে জানা যায় যে, আসামিরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারেন। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের বিদেশগমন রহিতকরণ ও এনভাইডি ব্লক করা একান্ত প্রয়োজন।

গত ২৮ এপ্রিল মিহির কান্তিসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে দুদক ৬টি মামলা করেছে। মামলার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এর আগেও গত ১৬ জুন মিহিরসহ ১০ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়।

মিহির কান্তি মজুমদার ২০১১ থেকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেখান থেকে ২০১৩ সালের ১৩ মে অবসর নেন। এরপর ২০১৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর পল্লী সঞ্চয় ব্যাংকের প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।

এমআইএন/এমএএইচ/এএসএম