ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

বিশেষ কারাগারে পত্রিকা পাচ্ছেন না পলক

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৫:০৪ পিএম, ০৪ আগস্ট ২০২৫

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে থাকাকালে ৩টি বাংলা ও একটি ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা পেতেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে। তবে সম্প্রতি ঢাকার কেরানীগঞ্জে কেন্দ্রীয় কারাগারে আনার পর থেকে এই পত্রিকাগুলো পাচ্ছেন তিনি। সেখানে ভিআইপি আসামিদের জন্য করা বিশেষ কারাগারে আছেন তিনি। সোমবার (৪ আগস্ট) ঢাকার সিএমএম আদালতের কাঠগড়ায় থাকাকালে এ তথ্য জানান তিনি।

এদিন সকাল ১০টার পর তাকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। এসময় তার হাত থেকে হ্যান্ডকাফ, বুকের বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট ও মাথার হেলমেট খুলে ফেলা হয়। তখন আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এসময় সাংবাদিকরা পাশে অবস্থান করছিলেন। আইনজীবীদের সঙ্গে তার আলাপচারিতায় এসব কথা উঠে আসে।

এসময় কোমরের ব্যথার জন্য বেল্ট পরিহিত অবস্থায় দেখা যায় তাকে। এই ব্যথা থেকে মুক্তির জন্য সবার কাছে পলক দোয়া চেয়েছেন বলে জানান তার আইনজীবী তরিকুল ইসলাম।

এদিন কদমতলী থানার শিক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ও সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলককে গ্রেফতার দেখান আদালত। ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

এদিন সকালে আসামিদের কাঠগড়ায় তোলা হলে ইনুর দিকে এগিয়ে আসে এক কিশোরী। তার সঙ্গে ছিলেন আরও কয়েকজন লোক। এসময় ওই কিশোরী কয়েক মিনিট ধরে ইনুর সঙ্গে কথা বলে। এরপর বিচারক এলে সে এজলাসে থাকা বেঞ্চে গিয়ে বসে। পরে তার সঙ্গে থাকা একজন জানান, কিশোরীর নাম টিংকু। সে হাসানুল হক ইনুর ভাতিজি।

হত্যা মামলাটির সূত্রে জানা গেছে, জুলাই আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর কদমতলী থানাধীন এলাকায় তোলারাম কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী মাহাদী হাসান পান্থ আন্দোলনে অংশ নেন। ঘটনার দিন বিকেল ৪টায় আসামিদের ছোঁড়া গুলি তার মুখের সামনের অংশ দিয়ে ঢুকে মাথার পেছন দিয়ে বেরিয়ে যায়। এ ঘটনায় গত ৮ নভেম্বর কদমতলী থানায় মামলা হয়। এ মামলায় রাশেদ ৭, ইনু ৮ ও পলক ৯ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।

এমআইএন/এমআইএইচএস/জেআইএম