ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ভরাডুবি নয়, ডাকসু-জাকসুতে অনেক ভোট পেয়েছে ছাত্রদল: বরকতউল্লা বুলু

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ০৮:৫১ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু। তিনি বলেছেন, এ নির্বাচনে অনেক ছাত্রের ভোট পেয়েছে ছাত্রদল।

সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) মামলার হাজিরা দেওয়া শেষে ঢাকার কোর্ট রিপোর্টার্স ইউনিটির (সিআরইউ) কার্যালয়ে এ মন্তব্য করেন তিনি।

বরকতউল্লা বুলু বলেন, ডাকসু-জাকসুতে ছাত্রদলের ভরাডুবি হয়নি। এ নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলে ৫ হাজার ৮০০ ভোট পড়েছে। এ ছাত্রদের সমর্থন ছাত্রদলের এসেছে। আর শিবির তো নিজ নামে নির্বাচন করেনি। তারা সম্মিলিত একটা পরিষদের নামে নির্বাচন করেছে। আর এ ছেলেরা তো ছাত্রলীগের ব্যানারে গত ১০ থেকে ১৫ বছর হলে ছিল। শেখ হাসিনার হালুয়া-রুটি ও মাখন যা ছিল খেয়েছে। এখন এরা যারা গেল আন্দোলনের দাবিদার, তাদের অনেকেই তো ছাত্রলীগের পদেও ছিল।

তিনি বলেন, আপনি একটি দল করবেন, অথচ অন্যদলে ঢুকে গুপ্তচরবৃত্তি করবেন। এটা কেমন রাজনৈতিক নৈতিকতা?

২০১৫ সালের পর ক্যাম্পাসে আত্মগোপনে যাওয়ার আগে শিবির নির্যাতিত হয়েছে বলে দাবি করে দলটি। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী? এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ডাকসুতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন, তাদের বয়স ২৪-২৫ বছর হবে। ২০১৫ সাল তো আজ থেকে ১০ বছর আগে হবে। তখন তাদের বয়স তো ১২-১৪ বছর ছিল। তখন তারা আন্দোলনে গেলো কীভাবে?

ডাকসু নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ডাকসুতে ছাত্রদলের পরাজয় হয়নি। তারা একজনও হলে থাকতে পরেনি। ক্যাম্পাসে ঢুকতে পারেনি। ক্লাস করতে গেলেও ভয়ে ছিল। এ ১০ মাস আমরা ক্যাম্পাসে গিয়েছি। এতেই ৫ হাজার ৮০০ ছাত্রের সমর্থন পেয়েছি। এটা বিশাল ব্যাপার।

নিজের নির্জন কারাবাসের স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, একদিন আমাকে হঠাৎই কাশিমপুর হাই-সিকিউরিটি কারাগারে বদলি করে দেওয়া হয়৷ সেখানে একটি ভবনে আমি একা ছিলাম। একাকী একটি ভবনে অনেকদিন নিঃসঙ্গ অবস্থায় কাটাতে হয়েছে।

আজ রাজধানীর রমনা থানার নাশকতা মামলায় বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলুসহ ২৯ নেতাকর্মীকে অব্যাহতির আদেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াহিদুজ্জামান এ আদেশ দেন।

এমআইএন/এমএএইচ/এমএস