অভ্যুত্থানের অনেক ভিডিও এআই দিয়ে তৈরি, দাবি শেখ হাসিনার আইনজীবীর
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থান/ ছবি- সংগৃহীত
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষে রাষ্ট্রীয় খরচে নিযুক্ত আইনজীবী মো. আমির হোসেন বলেছেন, ‘গত বছরের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হননি। তাকে প্ররোচিত করা হয়েছে।’
এসব মামলায় দাখিলকৃত জব্দ তালিকার তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেন তিনি। এ সংক্রান্ত ১৯টি ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি বলেও দাবি করেন এই আইনজীবী।
সোমবার (৬ অক্টোবর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ শেখ হাসিনার মামলার মূল তদন্ত কর্মকর্তা মো. আলমগীরকে জেরার সময় এমন দাবি করেন তিনি। এর আগে জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৫৪তম ও সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দেন তদন্ত কর্মকর্তা।
সাক্ষীর উদ্দেশে আইনজীবী আমির হোসেন বলেন, ‘আসামি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে চাননি। বরং আমার মক্কেল শেখ হাসিনা ও কামালকে ফাঁসাতে আপনি ও তদন্ত সংস্থার অন্য সদস্যদের প্ররোচনায় তিনি এ কাজটি করেছিলেন।’
জবাবে এসব সত্য নয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা আলমগীর। তিনি বলেন, নিজের ইচ্ছায় জবানবন্দি দিয়েছেন চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। আমি বা তদন্ত সংস্থার অন্যান্য সদস্য কোনো ধরনের প্ররোচনা দেইনি।
আরও পড়ুন
শেখ হাসিনার মামলাসহ ৬টির রায় হতে পারে চলতি বছরেই
ক্ষমতায় টিকে থাকতে জঙ্গি নাটক ও পাতানো নির্বাচন করেন শেখ হাসিনা
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেলে এই জেরা চলছে। জেরার কার্যক্রম আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) পর্যন্ত মুলতবি করেন ট্রাইব্যুনাল।
ট্রাইব্যুনালের শুনানিতে প্রসিকিউশনের পক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম, প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, তানভীর হাসান জোহা, ফারুক আহাম্মদ, আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও মঈনুল করিম।
শেখ হাসিনার এই আইনজীবীর ভাষ্যমতে, জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে বহু সংখ্যক মানুষ নিহত-আহত হয়েছেন। কিন্তু জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে গুটিকয়েক ভুক্তভোগী পরিবারের।
এ সময় তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, প্রায় ১৫০০ জন নিহত ও ২৫ হাজার ছাত্র-জনতা আহত হয়েছে। তাদের সব পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারিনি। তবে অনেকের সঙ্গে বলেছি। এর মধ্যে শহীদ পরিবারের ১০ জন এবং আহত পরিবারের ২২ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। এরই এক পর্যায়ে এ মামলায় দাখিলকৃত জব্দ তালিকার তথ্যগুলো অসত্য বলে দাবি করেন স্টেট ডিফেন্স আইনজীবী আমির হোসেন। জবাবে এটা সত্য নয় বলে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।
এছাড়া, আমার একটি গণমাধ্যমে অসত্য প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছে অভিযোগ তুলে সাক্ষীকে প্রশ্ন করেন এই আইনজীবী। একই সঙ্গে ২০ ও ২১ এপ্রিল জব্দকৃত মোট ১৯টি ভিডিও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) তৈরি বলেও দাবি করেন তিনি।
এফএইচ/কেএসআর/এএসএম