৫ মামলায় হাইকোর্টে জামিন পেলেন সাবেক মেয়র আইভী

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে পোশাকশ্রমিক মিনারুল হত্যা মামলাসহ পৃথক পাঁচটি মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

জামিন চেয়ে আইভির করা পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে জারি করা রুলের চূড়ান্ত শুনানিতে (রুল অ্যাবসলিউট) রোববার (৯ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি সগীর হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এই আদেশ দেন।

আদালতে এদিন আইভির পক্ষে শুনানিতে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার সারা হোসেন ও সিনিয়র অ্যাডভোকেট মো. মোতাহার হোসেন সাজু। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম হৃদয় রহমান প্রমুখ। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুলতানা আক্তার রুবী বলেন, পৃথক পাঁচ মামলায় রুল অ্যাবসলিউট ঘোষণা করে সেলিনা হায়াৎ আইভীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। এর মধ্যে হত্যার অভিযোগে তিনটি ও মারাত্মক জখমের অভিযোগ করা দুটি মামলা রয়েছে।

আইভির আইনজীবী মো. মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, মামলাগুলোয় তার মক্কেলের (আইভি) বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ নেই। তিনি একজন নারী। তিনি ছয় মাস ধরে কারাগারে আছেন। এসব যুক্তিতে জামিন চাওয়া হয়।

এর আগে, গত ৯ মে নারায়ণগঞ্জ শহরের দেওভোগ এলাকায় অবস্থিত নিজ বাড়ি ‘চুনকা কুটির’ থেকে আইভীকে গ্রেফতার করা হয়। সেসময় একটি হত্যা মামলায় আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। মিনারুল হত্যা মামলায় দুই দিনের রিমান্ড শেষে গত ২৭ মে আইভীকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনায় দায়ের হওয়া তিনটি হত্যা, দুটি হত্যাচেষ্টা মামলাসহ পৃথক মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়।

২০০৩ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন আইভী। পরে নবগঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের তিনটি নির্বাচনে টানা জয়ী হন তিনি। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা মামলাসহ পৃথক মামলায় গ্রেফতার হন আইভী।

এফএইচ/এমএমকে/জিকেএস