প্লট দুর্নীতি মামলা
আদালতের পর্যবেক্ষণে টিউলিপের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি আলোচনায়
রাজধানীর পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠা সরকারি প্লট অবৈধভাবে বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে দুদকের মামলার রায়ে ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের ভূমিকা নিয়ে বিশেষভাবে মন্তব্য করেছেন আদালত। মামলায় তাকে দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪। অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
রায়ের গুরুত্বপূর্ণ অংশে বলা হয়, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক তার মা শেখ রেহানাকে প্লট পাওয়ানো নিশ্চিত করতে প্রভাব খাটানোর উদ্দেশ্যে খালা শেখ হাসিনা এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব-১ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল, ইন্টারনেট অ্যাপ এবং সরাসরি যোগাযোগ করেন।
সাক্ষ্য ও ১৬৪ ধারার জবানবন্দির মাধ্যমে তার এসব প্রচেষ্টা প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালত মন্তব্য করে।
বিচারকের ভাষায়, টিউলিপ প্ররোচনামূলক ভূমিকা পালন করেছেন, যা দুর্নীতি সংগঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। বিচারক আরও বলেন, কৃষ্ণচক্রের মতো দুর্নীতি এখন সমাজকে গ্রাস করছে। এ থেকেই মুক্তির জন্য কঠোর প্রতিরোধ প্রয়োজন।
যদিও মামলার কেন্দ্রবিন্দু ছিল প্লট বরাদ্দে ক্ষমতার অপব্যবহার, আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী টিউলিপ সিদ্দিকের সক্রিয় ভূমিকা মামলার বিশ্লেষণে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হিসেবে উঠে এসেছে। এই মামলায় শেখ রেহানাকে সাত বছর, শেখ হাসিনাকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
রেহানার নামে বরাদ্দকৃত ১০ কাঠা প্লটও বাতিল করা হয়েছে। অন্য আসামিদেরও পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেক অভিযুক্তকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আসামিরা এই অর্থ পরিশোধ না করলে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
২০২৪ সালের ১৩ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মামলাটি করে। তদন্ত শেষে মোট ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল হয়। আদালতে মোট ৩২ জন সাক্ষী সাক্ষ্য দেন।
এমডিএএ/এমআইএইচএস