১০ বছর পর চাঁদাবাজির মামলা, সাবেক এমপি মোজাম্মেল গ্রেফতার
আওয়ামী লীগ নেতা বিএম মোজাম্মেল হক/ফাইল ছবি
২০১৫ সালে ২৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগের একটি মামলায় শরীয়তপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার (শ্যোন অ্যারেস্ট) দেখানো হয়েছে।
বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কামাল উদ্দীন আহমেদ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
বিএম মোজাম্মেলের আইনজীবী অ্যাডভোকেট লিটন মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রাজনৈতিক কয়েকটি মামলায় গ্রেফতার হয়ে মোজাম্মেল হক এরই মধ্যে কারাগারে।
এদিন শুনানিতে আসামিপক্ষের এ আইনজীবী আদালতকে জানান, চাঁদাবাজির যে মামলায় বিএম মোজাম্মেলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে সেই মামলাটি ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’।
তিনি বলেন, ২০১৫ সালে চাঁদা দাবির অভিযোগের ঘটনায় মামলা হয়েছে ২০২৪ সালে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় পর মামলা হলে অভিযোগ বিষয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। এখানে বাদী ও আসামি একই দলের, একই এলাকার। পদ না দেওয়ার ক্ষোভ থেকে বাদী এমন অভিযোগ করেন।
তিনি আরও বলেন, বিএম মোজাম্মেল হক ৩০ বছর আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেছেন। ঢাকায় তার কোনো ফ্ল্যাট বা প্লট নেই। কখনো কোনো দুর্নীতির অভিযোগও ওঠেনি। বর্তমানে তার বয়স ৬৮ বছর এবং তিনি অসুস্থ। তাই জামিন আবেদন করছি।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চাঁদাবাজির মামলার বাদী ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান এজাহারে উল্লেখ করেছেন, ২০১৫ সালে আওয়ামী লীগ নেতা বিএম মোজাম্মেল হক ধানমন্ডির একটি অফিসে তাকে ডেকে নেন। সেখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের লোকজনের মাধ্যমে চাপ প্রয়োগ করে নির্বাচনী খরচ বাবদ তার কাছে ২৫ লাখ টাকা দাবি করা হয়। তিন দিনের মধ্যে টাকা না দিলে তাকে গুম করার হুমকি দেওয়া হয়।
খলিলুর রহমান আরও অভিযোগ করেন, এরপরের নির্বাচনে শরীয়তপুরে তার ব্যবসার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ব্যবসায়ী সমিতির মাধ্যমে চাপ সৃষ্টি করা হয় এবং হুমকি-ধমকির কারণে তিনি ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হন।
গত ৫ অক্টোবর রাজধানীর নিকেতন এলাকা থেকে বিএম মোজাম্মেল হককে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
এমডিএএ/এমকেআর/এমএস