ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

মৃত্যুদণ্ড চেয়ে হাসিনা ও কামালের বিরুদ্ধে আপিল করা হবে আজ

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৯ পিএম, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে যে অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, এর বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করবে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশন টিম। আপিলে দণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে। বিষয়টি সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের জানিয়েছেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম।

এর আগে, গত ২৭ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের এই প্রসিকিউটর সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন, ট্রাইব্যুনালে গত ১৭ নভেম্বর দেওয়া রায়ের কপি তারা পেয়েছেন। সেখানে দেখেছেন যে, একটি অভিযোগে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আরেকটি অভিযোগে দুজনকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। প্রসিকিউশন প্রাথমিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে অভিযোগে দুজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে আপিল বিভাগে আপিল করা হবে। অভিযোগের শাস্তি বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ড চাওয়া হবে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদন করা হবে।

এ নিয়ে আরেক প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম বলেন, ট্রাইব্যুনাল যে অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেননি, আমরা মনে করি এটা সঠিক সিদ্ধান্ত নয়। রায় সঠিক, তবে দণ্ডাদেশ সঠিক হয়নি। তাই যে অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে, সেই অভিযোগেও দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড চেয়ে প্রসিকিউশন আপিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আমরা মনে করি যে শেখ হাসিনার উসকানির কারণে এদেশে ব্যাপক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছে। চিরপঙ্গুত্ববরণ করেছে, দুই চোখ অন্ধ হয়ে গেছে, মাথার খুলি গেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনে এগুলোর শাস্তি মৃত্যুদণ্ড এবং আমরা বিশ্বাস করি, এটাই হওয়া উচিত ছিল। ট্রাইব্যুনাল অন্য অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দিলেও, এ অভিযোগেও আসামিদের মৃত্যুদণ্ডই হওয়া উচিত ছিল।

চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং মামলার রাজসাক্ষী সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। গত ১৭ নভেম্বর ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ রায় ঘোষণা করেন। এখন ঘোষিত রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি (কপি) হাতে পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন মামলার রাষ্ট্র ও আসামি মামুনের পক্ষের আইনজীবীরা।

এফএইচ/এএমএ/জেআইএম