সালমান-আনিসুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানি শেষ
সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হক/ফাইল ছবি
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সাবেক আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠনে রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউশনের শুনানি শেষ করা হয়েছে। এরপর আসামিপক্ষের শুনানির জন্য আগামী ৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বীন দুই সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারিক প্যানেল এই দিন ঠিক করেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্য হলেন- বিচারপতি মো. শফিউল আলম মাহমুদ।
আদালতে আজ রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। অন্যদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট মনসুরুল হক চৌধুরী।
শুনানিতে চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থান দমনে প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার, ষড়যন্ত্র, সিস্টেমেটিক হামলা হয়েছে। আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে হামলা করেছে। মিরপুরে ১৪ জনকে হত্যা ও ৫ আগস্ট মিরপুর ২, ১০ ও ১৩ নম্বরে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এসব বন্ধে আসামিরা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
গণঅভ্যুত্থানকালে সালমান ও আনিসুলের টেলিকথোপকথনের রেকর্ড ট্রাইব্যুনালে শোনানো হয়। তাতে দেখা যায়, তারা প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহারের বিষয়ে পরামর্শ করছেন।আন্দোলনকারীদের ‘শেষ করে দিতে হবে’ বলে সালমান এফ রহমানের সঙ্গে আনিসুল হক মন্তব্য করেন। তাদের এই বক্তব্য হত্যাকাণ্ড উসকানি হিসেবে ভূমিকা রেখেছে বলে ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশন উল্লেখ করেন। প্রসিকিউশনের শুনানি শেষে আসামিপক্ষের শুনানির জন্য ৪ জানুয়ারি দিন ঠিক করা হয়েছে। সেদিন আসামিপক্ষের অব্যাহতির আবেদনের ওপরও শুনানি হবে।
এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর সালমান ও আনিসুল হকের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। এদের দুজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে মোট পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়।
গণঅভ্যুত্থানের মুখে গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ১৩ আগস্ট ঢাকার সদরঘাট এলাকা থেকে সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে আটক করা হয় বলে পুলিশ জানায়। পরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়।
এফএইচ/ইএ/এএসএম