ভিত্তিহীন তথ্য ছড়ানোর অভিযোগ
দুই জনের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের মামলার আবেদনে যা বলা হয়েছে
মাহমুদুর রহমান/ ফাইল ছবি
আমার দেশ পত্রিকাকে জড়িয়ে ফেসবুকে মিথ্যা ও উসকানিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগে মামলার আবেদন করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক মাহমুদুর রহমান। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জুয়েল রানার আদালতে তিনি এই মামলার আবেদন করেন। আদালত বাদীর জবানবন্দি রেকর্ড করে আদেশ দেওয়ার জন্য অপেক্ষমাণ রেখেছেন।
মামলার আরজিতে যা বলা হয়েছে
মামলার আরজিতে মাহমুদুর রহমান নিজেকে একজন প্রকৌশলী, এমবিএ এবং ডক্টরেট ডিগ্রিধারী উচ্চশিক্ষিত নাগরিক হিসেবে উল্লেখ করে জানান, তিনি বিনিয়োগ বোর্ডের চেয়ারম্যান ও জ্বালানি উপদেষ্টার মতো গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০২৫ সালে সাংবাদিকতা ও মানবাধিকার রক্ষায় তিনি একুশে পদকেও ভূষিত হন।
আরজিতে অভিযোগ করা হয়, আসামি মারুফ মল্লিক ও ওয়াহিদুজ্জামান এ্যাপোলো ষড়যন্ত্রমূলকভাবে তার এবং তার পত্রিকার ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে লিপ্ত হয়েছেন।
আসিফ নজরুলের উদ্ধৃতি
মামলায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলের একটি ফেসবুক স্ট্যাটাসকে রেফারেন্স হিসেবে যুক্ত করা হয়েছে। যেখানে আসিফ নজরুল লিখেছিলেন, হামলার রাতে মাহমুদুর রহমান নিজে মব নিয়ন্ত্রণের জন্য সেখানে যেতে চেয়েছিলেন। আসিফ নজরুল মারুফ মল্লিকের লেখাকে ‘অনুমাননির্ভর ও বিষাক্ত’ বলে অভিহিত করেছিলেন।
আদালতে আবেদন
মাহমুদুর রহমান আরজিতে উল্লেখ করেন, আসামিদের এমন উসকানিমূলক প্রচারণার ফলে জনমনে আমার দেশ পত্রিকার কর্মীদের প্রতি ঘৃণা ও বিদ্বেষ সৃষ্টি হতে পারে, যা আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটাতে সক্ষম।
তিনি আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে তাদের জেলহাজতে রেখে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছেন।
শুনানিতে মাহমুদুর রহমানের পক্ষে ব্যারিস্টার তানভীর আল আমিন অংশ নেন। আদালত জানিয়েছেন, দণ্ডবিধির ৫০৫ ধারার বিধিনিষেধ অনুযায়ী সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে এই বিষয়ে পরবর্তী আদেশ দেওয়া হবে।
এমডিএএ/এমআইএইচএস/এমএস
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় তদন্ত কর্মকর্তার জবানবন্দি
- ২ নোয়াখালী-৫: ফখরুলের মনোনয়ন প্রত্যাহারে বিএনপি মহাসচিবকে নোটিশ
- ৩ দুই জনের বিরুদ্ধে মাহমুদুর রহমানের মামলার আবেদনে যা বলা হয়েছে
- ৪ মান্নার আবেদনের শুনানি চেম্বার আদালতে সোমবার পর্যন্ত মুলতবি
- ৫ ফ্যাসিবাদী সরকারের দেওয়া মামলার বোঝা এখনো বয়ে বেড়ানো দুঃখজনক