বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির গেজেট সংক্রান্ত শুনানি ৫ নভেম্বর
অধঃস্তন (নিম্ন) আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ সংক্রান্ত মাসদার হোসেন মামলা শুনানির জন্য আগামী ৫ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
শনিবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি আব্দুল ওয়াহ্হাব মিঞার নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগে এ আদেশ দেন। আজ (রোববার) এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল।
গত ২০ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার নেতৃত্বে আপিল বিভাগের ছয় সদস্যের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ এই বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক করেছিলেন।
এর আগে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম মামলাটির শুনানি করেন। ওইদিন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম আদালতে সময় প্রার্থনা করেন।
এর আগে এ বিষয়ে ছুটিতে যাওয়া প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহার সঙ্গে দুই দফা বৈঠকও করেছিলেন আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক।
ওই বৈঠক শেষে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশ এক সপ্তাহের মধ্যেই হবে। কিন্তু বিচারকদের চাকরিবিধি প্রকাশে এ নিয়ে কয়েক দফা সময় নিল সরকার।
২০১৬ সালের ১১ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয় থেকে এক নোটিশে জানানো হয়, নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালার গেজেট প্রকাশের প্রয়োজন নেই বলে রাষ্ট্রপতি সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। ২০১৬ সালের ১ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ গেজেট প্রকাশ করতে রাষ্ট্রপক্ষকে এক সপ্তাহ সময় দেন।
পরে আবেদন শুনানি নিয়ে বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা গেজেট প্রকাশে সরকারকে সর্বশেষ আরও দুই সপ্তাহ (৮ মে পর্যন্ত) সময় দেন আপিল বিভাগ। সর্বশেষ সময় বেঁধে দেয়ার পরেও গেজেট প্রকাশে দফায় দফায় সময় দেয়া হয় রাষ্ট্রপক্ষকে।
নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাসংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়ন না করায় আইন মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে ২০১৬ সালের ১২ ডিসেম্বর তলবও করেছিলেন আপিল বিভাগ।
এফএইচ/বিএ/এমএস
আরও পড়ুন
সর্বশেষ - আইন-আদালত
- ১ বাণিজ্যিক আদালত দেশের অর্থনীতিতে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে
- ২ আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন
- ৩ শিক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ: গণবিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র রিমান্ডে
- ৪ দুই সেনাসদস্যসহ ৪ জনের অভিযোগ গঠনে আসামিপক্ষের শুনানি ১৪ ডিসেম্বর
- ৫ আনিসুল-সালমানের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল