পিলখানায় নিহত সুবেদারের পরিবারকে প্লট বরাদ্দ দিতে হাইকোর্টের রুল
ফাইল ছবি
পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় শহীদ বিডিআরের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলামের পরিবারকে স্থায়ী পুনর্বাসনের জন্য প্লট বরাদ্দ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার (১৩ জুন) জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. মিজানুর রহমান।
এ সংক্রান্ত রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৮ মে হাইকোর্টের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি কাজী জিনাত হকের সমন্বয়ে বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে ওই দিন রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন দোলন। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার নওরোজ মো. রাসেল চৌধুরী, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল এমএমজি সারওয়ার পায়েল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মিসেস ঈশিতা পারভীন।
সরকারের প্লট বরাদ্দ চেয়ে গত ১৬ মে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন মরহুম মেজর নুরুল ইসলামের ছেলে আশরাফুল আলম, কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌস, রহিমা খাতুন ও নাসরিন আক্তার। ওই রিটের শুনানি নিয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেন আদালত।
বিডিআরের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সুবেদার মেজর নুরুল ইসলাম বিদ্রোহ প্রতিরোধ করতে গিয়ে জীবন দিয়েছেন। এর স্বীকৃতি হিসেবে বাংলাদেশ সরকার তাকে শহীদের মর্যাদাও দিয়েছে। কিন্তু সরকার থেকে তার পরিবারকে প্লট বরাদ্দ দেওয়া হয়নি। তাই তার পরিবারের পক্ষ থেকে রিট আবেদনটি করা হয়েছিল। ওই রিটের শুনানি নিয়ে এই আদেশ দেন আদালত।
২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিডিআরের (বর্তমানে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-বিজিবি) সদরদপ্তর পিলখানাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্রোহ হয়। বিডিআরের কয়েকশ সদস্য বিদ্রোহের পর পিলখানায় নারকীয় হত্যাকাণ্ড চালান। নিষ্ঠুর আচরণ ও পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন পিলখানায় বিডিআরের বিভিন্ন পর্যায়ে দায়িত্ব পালনরত সামরিক বাহিনীর কর্মকর্তারা। তাদের অনেকের পরিবারের সদস্যরাও নৃশংসতার শিকার হন। দুই দিনব্যাপী ওই বিদ্রোহে বিডিআরের তৎকালীন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদ, ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম