ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

পারিবারিক আদালতের মামলার হালচাল

প্রাপ্য দেনমোহরের অপেক্ষা যেন ফুরোয় না

জাহাঙ্গীর আলম | প্রকাশিত: ০৮:৫৮ এএম, ১৮ আগস্ট ২০২২

বিয়ে একজন নারী ও একজন পুরুষের মধ্যে সামাজিক চুক্তি। এ চুক্তি সম্পাদনের অন্যতম শর্ত দেনমোহর। দেনমোহর হলো কিছু অর্থ বা সম্পত্তি, যা বিয়েবন্ধনে জড়ানোর প্রতিদানস্বরূপ স্বামীর কাছ থেকে পেয়ে থাকেন স্ত্রী। ইসলামি শরিয়ত স্ত্রীর দেনমোহর পরিশোধ করা স্বামীর ওপর ফরজ করে দিয়েছে। বাংলাদেশ পারিবারিক আইনেও স্ত্রীকে দেনমোহরের টাকা দেওয়া স্বামীর জন্য বাধ্যতামূলক।

বিয়ের সময় অনেকেই দেনমোহরের টাকা বাকি রাখেন। বিয়েবিচ্ছেদ কিংবা দুজন আলাদা হয়ে যাওয়ার পর অনেক স্বামীই দেনমোহরের টাকা দিতে চান না স্ত্রীকে। এ দেনমোহরের টাকার জন্য নিরুপায় হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন নারীরা। টাকার জন্য স্বামীর বিরুদ্ধে মামলা করেন। আদালতে ছোটাছুটি করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন তিনি। তবু প্রাপ্য সেই দেনমোহরের অপেক্ষা ফুরোয় না।

ঢাকায় কলহের মামলাগুলোর বিচারিক কার্যক্রম তিনটি পারিবারিক আদালতে পরিচালিত হয়। জাগো নিউজের অনুসন্ধানে দেখা যায়, গত ছয় বছরে (২০১৬-২০২১ সাল) পারিবারিক আদালতে ৪৩ হাজার ৪৩৩টি মামলা হয়েছে। মামলার পর দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়ান অসহায় নারী। এর মধ্যে বিচার করার পর্যাপ্ত উপাদান না থাকায় পাঁচ হাজার ৭৫৭টি মামলা খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। এক হাজার ৪৩৯টি মামলার রায় হয়েছে। এর মধ্যে দেনমোহরের মামলা হয়েছে ২০ শতাংশ। মামলা করে তার প্রতিকারের জন্য দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ছোটাছুটি করে বেড়াতে হয় ভুক্তভোগী নারীকে। আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে ছোটাছুটি করতে করতে এক সময় ক্লান্ত হয়ে পড়েন নারী। তবু প্রাপ্য সেই দেনমোহরের আশা ছাড়েন না অসহায় নারী।

জাগো নিউজের অনুসন্ধানে আরও দেখা যায়, ২০১৬ সালে পারিবারিক মামলা হয়েছে সাত হাজার ১০৩টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে এক হাজার ২৪০টি এবং রায় হয়েছে ৩৩৫টি মামলার। পরের বছর ২০১৭ সালে পারিবারিক মামলা হয়েছে সাত হাজার ৩৩০টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে ৯৮১টি এবং রায় হয়েছে ২৯৪টির। ২০১৮ সালে পারিবারিক মামলা হয়েছে সাত হাজার ৪৯২টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে ৭৪১টি এবং রায় হয়েছে ১৯০টি। ২০১৯ সালে পারিবারিক মামলা হয়েছে ৯ হাজার ৩৪৫টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে এক হাজার ৩৯১টি এবং রায় হয়েছে ২৭৫টির। ২০২০ সালে পারিবারিক আইনে মামলা হয়েছে আট হাজার ৪৫২টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে ৬৭৭টি এবং রায় হয়েছে ১৫৮টির।

গত বছর অর্থাৎ ২০২১ সালে পারিবারিক আইনে মামলা হয়েছে তিন হাজার ৭১১টি। এর মধ্যে খারিজ হয়েছে ৭২৭টি এবং রায় হয়েছে ১৪৭টির। অনুসন্ধানে দেখা যায়, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পারিবারিক কলহের মামলা বেড়েই চলছে। দেনমোহরের মামলার আইনটি যুগোপযোগী না হওয়ায় দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে ভুক্তভোগী নারীকে। এই আইনে সংশোধন করে যুগোপযোগী করার দাবি জানিয়েছেন আইন বিশেষজ্ঞরা। তাহলে আদালতের বারান্দায় ঘোরাঘুরি অনেক কমে আসবে অসহায় নারীদের। রক্ষা পাবেন হয়রানির থেকেও।

দেনমোহর বুঝে পাওয়ার আশায় আদালতের বারান্দায় তানিয়া

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তানিয়া আক্তারের পরিচয় হয় একই বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শাহ জালাল জুয়েলের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক। এই প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০০৫ সালে এক লাখ এক টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় দুজনের। তানিয়ার পরিবারের ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে হলেও পরে তারা মেনে নেয়। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুজনের মধ্যে শুরু হয় ঝগড়াঝাটি।

এর মধ্যে বিয়ের চার বছরের মাথায় তাদের ঘর আলো করে আসে এক কন্যাসন্তান। নাম রাখা হয় নুসরাত জাহান। কন্যা সন্তানের জন্মের পর তানিয়া ভেবেছিলেন তাদের সংসারে শান্তি আসবে। কিন্তু ঘটলো উল্টো, বাড়তে থাকে অশান্তি, যা শেষ করে দেয় সংসারকে। ২০১৬ সালে তানিয়াকে তালাক দেন জুয়েল। কিন্তু তালাকের সময় তানিয়ার প্রাপ্য দেনমোহর বুঝিয়ে দেননি তিনি। সেজন্য স্থানীয়ভাবে অনেক সালিশ-দরবারও হয়। এতে কোনো কাজ হয়নি।

বিচ্ছেদের পর দেনমোহর পরিশোধে হচ্ছে গড়িমসি-ছবি সংগৃহীত

কোনো উপায় না পেয়ে পরের বছর ২০১৭ সালে তানিয়া দেনমোহরের জন্য ঢাকার আদালতে একটি মামলা করেন। মামলায় বিবাদী করেন জুয়েলকে। ওই মামলায় প্রতি মাসে তানিয়া হাজিরা দিতে আদালতে আসতে হয়। কয়েক বছর ঘুরে মামলাটি বর্তমানে সাক্ষ্যগ্রহণের পর্যায়ে রয়েছে। দিনের পর দিন আদালতে আসছেন তানিয়া। কিন্তু কবে রায় পাবেন, কবে প্রাপ্য দেনমোহর পাবেন, তা এখনো জানেন না। তবে হাল ছাড়েননি। তানিয়ার আশা, একদিন আদালতের মাধ্যমে তিনি দেনমোহরের টাকা অবশ্যই বুঝে পাবেন। সেদিন তার কষ্ট দূর হবে।

আদালত প্রাঙ্গণে তানিয়া জাগো নিউজকে বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাদের মধ্যে ঝগড়াঝাটি লেগেই থাকতো। একসময় জুয়েল আমাকে তালাক দেয়। সে আমাকে দেনমোহরের কোনো টাকা দেয়নি। দেনমোহরের টাকার জন্য স্থানীয়ভাবে অনেক সালিশ-দরবার হয়। উপায় না পেয়ে আমি আদালতে মামলা করি। মামলা করার পাঁচ বছর পার হচ্ছে। কিন্তু আমি এখনো আমার দেনমোহরের টাকা বুঝে পাইনি। জানি না এ টাকা কবে পাবো। তবে আমি হাল ছাড়বো না। নিজের অধিকার আদালতের মাধ্যমে আদায় করেই ছাড়বো।

এ বিষয়ে জুয়েল বলেন, দেনমোহরের টাকার জন্য তানিয়া আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছে। আদালতের মাধ্যমেই এর সমাধান হবে। আদালত যেটা রায় দেবেন আমি সেটাই মেনে নেবো।

আদালতে ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত সামিয়া

সামিয়া জাহান রিতা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার বাসিন্দা। ২০১৭ সালের মাঝামাঝি দুই লাখ ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় আজিম উদ্দিনের সঙ্গে। আজিম একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। বিয়ের সময় আজিম দেনমোহরের ২০ হাজার টাকা উসুল করেন। মেয়ের সুখের কথা চিন্তা করে সামিয়ার দিনমজুর বাবা রায়হান শেখ ৬০ হাজার টাকার আসবাবপত্র দেন আজিমকে। বিয়ের পর তারা কিছুদিন সুখে-শান্তিতে সংসার করেন। কিছুদিন গড়াতেই মাদকাসক্ত আজিম খারাপ আচরণ করতে থাকেন সামিয়ার সঙ্গে। করেন মানসিক নির্যাতন। এক পর্যায়ে সামিয়া ভরণ-পোষণও বন্ধ করে দেন। তালাক দেন সামিয়াকে।

নিরুপায় হয়ে ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ঢাকার আদালতে দেনমোহরের জন্য মামলা করেন সামিয়া। কিন্তু মামলার পর আদালতের পাঠানো সমনেরও জবাব দেননি আজিম। মামলাটি এখন ঢাকার পারিবারিক আদালতে একতরফা সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য রয়েছে।

আদালত প্রাঙ্গণে সামিয়া জাগো নিউজকে বলেন, দেনমোহরের টাকার জন্য আজিমের বিরুদ্ধে মামলা করেছি। তিনি আদালতের পাঠানো সমনেরও জবাব দেননি। দেনমোহরের টাকা পাওয়া নারীর হক। ইসলামেও তা বলা আছে। আমি মামলা করে দিনের পর দিন আদালতের বারান্দায় ঘুরছি। ক্লান্তি এসে গেছে। জানি না কবে পাব আমার দেনমোহরের টাকা।

আজিম উদ্দিন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আদালতে তানিয়া মামলা করেছে শুনেছি। আমি এখন আইনজীবী নিয়োগ করবো। আইনের মাধ্যমে যদি সে টাকা পায় আমি তাকে দেব। ন্যায়-অন্যায় আইনের মাধ্যমেই প্রমাণিত হবে।

তানিয়া ও সামিয়ার মতো অনেকে দেনমোহরের মামলা করে আদালতের বারান্দায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। দেনমোহরের পাওনা টাকা না পেয়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন তারা। তবু প্রাপ্য সেই দেনমোহরের আশা ছাড়েন না অসহায় ভুক্তভোগী নারীরা।

ধর্মীয় বিধানে দেনমোহর পরিশোধ না করার পরিণাম

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের খতিব হাফেজ মাওলানা মুফতি রুহুল আমিন জাগো নিউজকে বলেন, দেনমোহর স্ত্রীর অধিকার। দেনমোহর পরিশোধ না করলে স্বামীর জন্য স্ত্রী হালাল হয় না। কেয়ামতের মাঠে দেনমোহর পরিশোধ না করা স্বামী ব্যাভিচারী হিসেবে দাঁড়াবেন। ইসলাম দেনমোহর পরিশোধ করাকে ফরজ করে দিয়েছে। কেউ যদি ইচ্ছাকৃতভাবে দেনমোহরের টাকা মাফ করে দেন তাহলে সেটা হালাল হবে। আর যদি দেনমোহরের টাকা মাফ করে না দেন সেটা ঋণ হিসেবে থেকে যাবে।

দিনাজপুর জেলার বীরগঞ্জ ফাজিল মাদরাসার ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা নুরুল আলম বলেন, স্ত্রীকে স্পর্শ করার একমাত্র উপায় হলো বিয়ে সম্পন্ন করা। বিয়ে সম্পন্ন করার শর্ত তিনটি। এক. প্রস্তাব দেওয়া ও কবুল করা, দুই. দেনমোহর দেওয়া, তিন. কমপক্ষে দুজন সাক্ষী থাকা।

বিয়ের কিছুদিন পর শুরু হয় ঝগড়াঝাটি, অবশেষে বিচ্ছেদ-ছবি সংগৃহীত

তিনি আরও বলেন, দেনমোহর বিয়ের আকদের পর প্রদান করায় কোনো সমস্যা নেই। সহবাসের আগে প্রদান করাই উত্তম। তবে যদি স্ত্রী দেনমোহর প্রদান করা ছাড়াই সহবাসের অনুমতি প্রদান করে তাহলে কোনো সমস্যা নেই। বাকি দেনমোহর প্রদান করা ছাড়া প্রথম সহবাসের আগে স্ত্রী বাধা প্রদান করতে পারবে। একবার সহবাস হয়ে গেলে আর বাধা দিতে পারবে না। কিন্তু স্বামীর জিম্মায় দেনমোহর আদায় না করলে তা ঋণ হিসেবে বাকি থেকে যাবে। স্ত্রী যদি দেনমোহর মাফ না করেন, আর স্বামীও তা পরিশোধ না করেন, তাহলে কিয়ামতের ময়দানে স্বামী অপরাধী সাব্যস্ত হবে। তাই দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া জরুরি।

দেনমোহরের বিষয়ে আইনে যা রয়েছে

১৯৬১ সালের পারিবারিক আইনের ১০ ধারা মোতাবেক, ‘‘দেনমোহর পরিশোধ পদ্ধতি সম্পর্কে কাবিনে বিস্তারিত উল্লেখ না থাকলে স্ত্রীর তলবমাত্র সম্পূর্ণ টাকা পরিশোধ করিতে হইবে। স্ত্রীকে তালাক দেওয়ার ব্যাপারে স্বামীকে প্রতিশ্রুত যাবতীয় অর্থ প্রদান করিতে হইবে এবং প্রতিশ্রুত অর্থের পরিমাণ অনেক বেশি কিংবা স্বামীর পরিশোধ ক্ষমতার বাহিরে, এই যুক্তিই স্ত্রীর দাবির বিরুদ্ধে উপযুক্ত জবাব নহে।

দেনমোহরের পরিমাণ যদি নির্দিষ্ট করা না হইয়া থাকে, স্ত্রী দেনমোহর নির্ণয়কালে স্ত্রীর পিতার পরিবারের অন্যান্য নারী সদস্যের ক্ষেত্রে যেমন তাহার পিতার ভগিনীর ক্ষেত্রে, দেনমোহরের পরিমাণ কত ছিল তাহা বিবেচনা করিতে হইবে। ’’

এ বিষয় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তানজীম আল ইসলাম বলেন, আইন অনুযায়ী দেনমোহর স্বামীকে অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। কারণ দেনমোহর সব সময়ই স্বামীর ঋণ। স্ত্রী পারিবারিক আদালতে মামলা করে দেনমোহর আদায় করতে পারবেন। দেনমোহর দাবি করার পর স্বামী ওই দাবি পরিশোধ না করলে স্ত্রী-স্বামীর কাছ থেকে পৃথক থাকতে পারবেন এবং ওই অবস্থায় স্বামী অবশ্যই তার ভরণ-পোষণ দিতে বাধ্য থাকবেন।

তিনি আরও বলেন, বিয়েবিচ্ছেদ হলে বা স্বামীর মৃত্যু হলে স্ত্রী তার দেনমোহর আদায়ের জন্য পারিবারিক আদালতে মামলা করে তা আদায় করতে পারেন। তবে অবশ্যই তালাক বা স্বামীর মৃত্যুর তিন বছরের মধ্যে মামলা করতে হবে। স্বামীর মৃত্যু হলেও বকেয়া দেনমোহর একটি ঋণের মতো। এটি শোধ করতেই হয়। স্বামীর উত্তরাধিকারীরা এটি দিতে বাধ্য। অন্যথায় মৃত স্বামীর উত্তরাধিকারীদের বিরুদ্ধে মামলা করে আদায় করা যায়। স্ত্রী আগে মারা গেলেও দেনমোহর মাফ হয় না। স্ত্রীর উত্তরাধিকারীরা এই দেনমোহরের হকদার। তারাও মামলা করার অধিকার রাখেন।

আইনজীবী মলয় কুমার সাহা জাগো নিউজকে বলেন, দেনমোহর পাওয়া স্ত্রীর অধিকার। বিয়েবিচ্ছেদের পর অথবা আলাদা হওয়ার পর স্ত্রীকে স্বামী অনেক সময় দেনমোহরের টাকা দিতে চান না। এজন্য স্ত্রী আদালতে মামলা করেন। মামলা করে আইনের গ্যাঁড়াকলে পড়ে অনেক সময় তাকে বছরের পর বছর আদালতপাড়ায় ঘুরতে হয়। বিয়েবিচ্ছেদ বা আলাদা হওয়ার সময় যদি স্বামী-স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেন, তাহলে আর স্ত্রীকে হয়রানির শিকার হতে হয় না। দেনমোহরের আইনটিকে যুগোপযোগী করতে হবে। প্রত্যেক স্বামীর উচিত তাদের স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করে দেওয়া। কারণ দেনমোহর পাওয়া আইনগতভাবে স্ত্রীর অধিকার।

আইনজীবী জি এম মিজানুর রহমান বলেন, দেনমোহর পাওয়া স্ত্রীর অধিকার। ইসলামে দেনমোহর পরিশোধ করে দেওয়া ফরজ। কিন্তু আমাদের দেশে অনেকে স্ত্রীর দেনমোহরের টাকা পরিশোধ করতে চান না। এতে স্ত্রীকে আদালতের আশ্রয় নিতে হয়। অনেক সময় বিবাদী মামলায় পক্ষ হন না। আবার অনেক সময় বিবাদীপক্ষ মামলার কার্যক্রম পেছানোর জন্য বারবার সময়ের আবেদন করে। এতে মামলার বাদীকে হয়রানির শিকার হতে হয়। দেনমোহরের টাকার জন্য দিনের পর দিন আদালতপাড়ায় ঘুরতে হয়।

আইনজীবী তাহেরুল ইসলাম তৌহিদ বলেন, দেনমোহরের মামলার আইনটি অনেক পুরোনো। এই আইনটি সংশোধন করে যুগোপযোগী করলে দেনমোহরের মামলার হয়রানি অনেকটা কমে আসবে।

জেএ/এসএইচএস/এএসএম