ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক | প্রকাশিত: ১২:০৬ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২২

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ফাঁসানো জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট করা হয়েছে।

রিটে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, সাবেক এএসপি আব্দুর রশিদ, মুন্সি আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিনসহ ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় জড়িতদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে তা থেকে এই ক্ষতিপূরণের টাকা আদায় করে দিতে বলা হয়েছে।

জজ মিয়াকে একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় যারা জড়িয়েছে তাদের খুঁজে বের করতে আপিল বিভাগের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

এছাড়া এ ঘটনায় মামলা হওয়ার পরে কারাগারে থাকায় তার আর্থিক ও সামাজিক কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা নির্ধারণে তদন্তের নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিট করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

রিটে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, সিআইডি, সাবেক আইজিপি খোদাবক্স চৌধুরী, ঢাকার জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সাবেক স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমীন, সাবেক এসপি আব্দুর রশিদ, সাবেক এসপি মুন্সী আশিকুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।

বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন রিটকারী আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব।

তিনি জানান, সোমবার (১২ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিট আবেদনটি শুনানির জন্য অনুমতি নেওয়া হয়েছে।

এর আগে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি ১১ আগস্ট লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছিলো।লিগ্যাল নোটিশে বিবাদীদের ক্ষতিপূরণের বিষয়ে ১৫ দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছিল। তারা পদক্ষেপ না নেওয়ায় আজ রিটটি করা হয়েছে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়াকে। তাকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি।

২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেওয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ, মুকুল প্রমুখ।

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেওয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে। সে সময় বিনা অপরাধে পাঁচ বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে।

এফএইচ/এমএইচআর/জেআইএম