ভিডিও EN
  1. Home/
  2. আইন-আদালত

ওষুধের জেনেরিক নাম কেন লেখা হবে না জানতে চান হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১০:২৭ পিএম, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

রোগীর ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের জেনেরিক বা জাতিগত নাম লিখতে কেন আইন তৈরি করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে স্বাস্থ্য সচিব, মহা-পরিচালক ওষুধ প্রশাসন, মহা-পরিচালক স্বাস্থ্য, মেডিকেল অ্যান্ট ডেন্টাল কাউন্সিলের সভাপতিসহ চারজনকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে করা এক আবেদনের শুনানি শেষে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। রিট আবেদনকারী ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল নিজেই শুনানি করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু।

ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার পায়েল সাংবাদিকদের বলেন, ডাক্তররা ওষুধের আসল বা জাতিগত নাম না লিখে কোম্পানির দেয়া ওষুধের ব্রান্ড নেম (কোম্পানির দেয়া পরিচিত নাম) রোগীর ব্যবস্থাপত্রে লিখে দেন। যাতে করে রোগীরা তার ইচ্ছামতো কোম্পানির ওষুধ কিনতে দ্বিধায় পড়েন। ডাক্তারদের দেয়া পরামর্শক্রমে রোগীরা সেই কোম্পানির (ব্রান্ড নেমে) ওষুধ কিনে অর্থ অপচয়ের শিকার হন।

তিনি বলেন, ওষুধের মাদারনেম বা আসল নাম লিখলে রোগী তার ইচ্ছানুযায়ী যেকোনো কোম্পানির ওষুধ কিনে খেতে পারবে। কিন্তু আমাদের দেশের রোগীদের ব্যবস্থাপত্রে ওষুধের নাম লিখতে ডাক্তাদের বিষয়ে এরকম কোনো আইন নেই। আইন থাকলে ডাক্তাররা এরকম করতে পারতেন না।

ব্যারিস্টার গোলাম সারোয়ার আরো বলেন, ভারতে এরকম আইন প্রণয়ন করা হয়েছে ২০০২ সালে। আমাদের দেশে ওষুধের আসল নাম লেখার ক্ষেত্রে এরকম আইন থাকলে রোগী বা সাধারণ মানুষ ভোগান্তির শিকার হবেন না। যেমন এভিল একটি ওষুধের নাম এটি কোম্পানির দেয়া নাম। এ ওষুধের আসল নাম হলো (ফেনিরামাইন সেলিয়েট বিপি)।

এফএইচ/বিএ