অবৈধভাবে চাল-ধান মজুত
এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২ জনের জামিন

বগুড়ার শেরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে ১৫ কোটি টাকা মূল্যের চার হাজার ৫১০ টন চাল ও ধান মজুতের অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে করা মামলায় এসিআইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ দৌলাসহ দুই কর্মকর্তার জামিন মঞ্জুর করেছেন হাইকোর্ট। তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়ে বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
আদালতে আজ জামিনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এম মাসুম ও ব্যারিস্টার সৈয়দ মাহসিব হোসেন। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের শুনানিতে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম গোলাম মোস্তফা তারা।
শেরপুরে অবৈধভাবে মজুত করে রাখা সাড়ে চার হাজার মেট্রিক টন ধান-চাল জব্দ করার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে এসিআই ফুডের মালিকসহ চারজনকে অভিযুক্ত করে গত ১৯ জানুয়ারি রাতে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম বাদী হয়ে এ মামলাটি করেন।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
মামলার অভিযুক্তরা হলেন- এসিআই ফুড লিমিটেডের (রাইস ইউনিট) মালিক আরিফ দৌলা (৪৫) ও সিনিয়র কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন (৩০)। অন্য দুজন হলেন- শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের মালিক শামীমা ইসলাম (৫০) ও ব্যবস্থাপক এনামুল হক (৫২)।
আসামিদের মধ্যে আরিফ দৌলা ও আবদুল্লাহ আল মামুন সম্প্রতি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। ওই আবেদন শুনানি নিয়ে আজ এ আদেশ দেন আদালত।
বিজ্ঞাপন
মামলার এজাহারে বলা হয়, উপজেলার গাড়িদহ ইউনিয়নের জোয়ানপুর এলাকায় অবস্থিত মেসার্স শিনু এগ্রো ফুড ইন্ডাস্ট্রিজের পাঁচটি গুদামে প্রায় এক হাজার ৯২৯ দশমিক ৮৭৫ টন চাল ও দুই হাজার ৫৮১ দশমিক ৬৩ টন ধান অবৈধভাবে মজুত করা হয়েছে। সরকারি হিসাবে এর মূল্য ১৫ কোটি ৩৩ লাখ ৪০ হাজার ৩৯০ টাকা। গোপনে এমন সংবাদ পেয়ে জেলা খাদ্য বিভাগের পক্ষ থেকে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কাজী সাইফুদ্দিন। পরে জব্দ করা ধান-চাল উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার জিম্মায় রাখা হয়।
শেরপুর উপজেলা খাদ্যনিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মামুন-এ-কাইয়ুম বলেন, মামলায় অভিযুক্তরা অবৈধভাবে ধান-চাল মজুত করে দেশে ধান-চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করতে চেয়েছেন। একই সঙ্গে বাজার অস্থিতিশীল ও মূল্যবৃদ্ধির পাঁয়তারা করছেন বলে প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে। এ কারণে তাদের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ২৫ (১) ২৫ডি ধারায় মামলা করা হয়েছে।
এফএইচ/আরএডি/জিকেএস
বিজ্ঞাপন